আল্লাহর নির্দেশে মুহাম্মদের চোখে মুখে দুশ্চিন্তার মেঘ
খাদিজা বলে, তুমি কেন কর এত চিন্তা!
ওঠ! এসো, তুমি আমায় দিয়ে প্রথমে শুরু কর
আগে তোমার ছিল শূন্য, এখন হলো এক
এগিয়ে যাও, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন!
যেন বিদ্যুতের সমসূত্রে গাথা দুটি আলোর বাতি
একটি জলে উঠতেই অপরটি ছড়িয়ে দেয় আলো।
একে একে সত্যের মিছিল বড় হয়, সবই গোপনে।
আল্লাহর নির্দেশ আসে, ইলামকে প্রকাশ করতে হবে!
প্রথমে বিশিষ্ট চল্লিশ জনকে দাওয়াত দিয়ে বললেন সেকথা
সবাই ক্রুদ্ধ হয়ে প্রত্যাখ্যান করে চলে গেল
দেখে আলি সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে, আমি আছি তোমার সাথে
তারপর সাফা পর্বতে লোকজনকে ডেকে সত্যের পথে জানালেন আহ্বান
আবারও ব্যর্থ; সকলে গালি দিতে দিতে ফিরে গেল
এরপর একদিন কাবা শরীফে গিয়ে উচ্চ কণ্ঠে ঘোষণা করলেন
যেন কাবা গৃহ সেই মহাসত্যের ঝংকারে মুখরিত
দেবদেবী যেন কেঁপে ওঠে থরথর, ছুটে আসে কুরাইশরা।
দেবদেবীকে একি অপমান! একি ধৃষ্টতা! রাগে অন্ধ হয় তারা
খোলা তরবারি এগিয়ে আসে মুহাম্মদের দিকে
খাদিজার পুত্র গর্জে ওঠে হারিস, ক্রোধের আগুনে সে নিভে যায়
কাবা শরীফে ইসলামের ঘোষণার প্রথম দিনেই
হারিসের বলিদানে শুরু হলো ইসলামের রক্তাক্ত পথ চলা।
কোরাইশরা দল বেধে আসে গোত্র প্রধান আবু তালেবের কাছে
বিচলিত আবু তালেব মুহাম্মদকে ডেকে বলে
তোমার এই নতুন ধর্ম ত্যাগ কর বাবা, দুশমন বাড়িও না
মুহাম্মদ বলে, চাচা! সবাই আমাকে পরিত্যাগ করলেও
আমি সত্য পরিত্যাগ করতে পারি না।
কথা শুনে কোরাইশরা মুহাম্মদের জীবন নেওয়ার হুমকি দেয়
আবু তালেব বেঁচে থাকতে ভাতিজার গায়ে ফুলের আচঁড়ও লাগতে দেবে না
এই ছিল তার পণ, সে গর্জে উঠলে করাইশরা চলে যায় রেগে
তারপর সে মুহাম্মদকে মায়াময় কণ্ঠে বলে
তোমার কাজ তুমি চালিয়ে যাও, দেখি তোমার গায়ে কে দেয় হাত!