বিবেক মুছে ফেলার সময় এসেছে
স্বার্থপরের মতো চলো, তাহলে হবে জীবন গড়া।
অন্যকে বাঁচাতে হলে আগে নিজে বাঁচতে হবে
যেভাবে বেঁচে আছি তাকে কি বেঁচে থাকা বলে?
সত্য ও ন্যায়কে একপাশে রেখে
চলো আমরা মুখোশ পরি
কথার প্যাঁচে তাক লাগিয়ে ফায়দা তুলি
এতেই হবে সুন্দর একটা জীবন গড়া।
তা না হলে সময়ের স্রোতে
নদীর বুকে পাথরের মতো তলিয়ে যাবে।
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কলামিস্ট, রাজনীতিবিদ, অধ্যাপক
সবাই এসো, ঠেলাঠেলি করে নোংরার মধ্যে চড়ে বস
সময়ের ট্রেন এসে গেছে
ভাবনা চিন্তা ফেলে আখের গোছাও
পৌঁছে যাবে গন্তব্যে! উঠে পড়! উঠে পড়!!
শুধু সেই একজন সুতীব্র যন্ত্রণা-নীল চোখে
স্টেশনে পথ চেয়ে বসে থাকে সারাক্ষণ।
প্রতীক্ষা করে! কিসের প্রতীক্ষা তার।
পাগল নাকি! নাকি স্বপ্নদ্রষ্টা।
সে একা একাই ডাক দিয়ে যায়!!
‘পুরাতন সব রাস্তাগুলো ভেঙ্গে ফেল
নতুন রাস্তা গড়তে হবে
কেউ যদি হাত না দেয় তাতে সবাইকে তখন সরতে হবে
এই রাস্তাটা তৈরি হলে
এখন যারা চলছে ধীরে তারাই যাবে সবার আগে
যেমন ধারা চলছে এখন সেই ধারাটা পাল্টে যাবে
সময় এসেছে বদলে যাওয়ার, তোমরা এবার বদলে যাবে’।
স্টেশনে বসে বসে সেই লোকটা কেবল বিড়বিড় করে।