(বি.দ্র. – কবিতাটা বোঝার জন্য প্রয়োজনীয় টীকা নিচে দেয়া আছে)
আজিকার শিশু আগামীর সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ,
নির্মাণ করিবে জীর্ণ ধরা 'পরে সাফল্য-পর্বত।
রবীন্দ্র, দুখু, যতীন্দ্র, নিউটন, জ্ঞানপিয়াসী বিরুনী,
উঁকি-ঝুঁকি দেয় তাহাদেরি মাঝে, এখনো বেরোয়নি।
সত্য-নিশান উড়াইয়া বেরিয়ে আসিবে সহস্র তারিক,
দেখিয়া ওদেরে কাঁপিয়া উঠিবে শত শত রডারিক!
আসিবে স্বর্গ হতে খালিদের সম নির্ভীক বীর,
খোদার কৃপাণ, ধুলায় লুটাবে অত্যাচারীর শির!
জোয়ানের মত বীরাঙ্গনায় কাঁপায়ে রণাঙ্গন –
মুক্তিকামী ও মানুষের তরে রাখিবে জীবনপণ!
কত বীর নারীর বিম্ব সরল মুখে এ বিশ্ব দ্যাখে,
খাতুনে উহুদ আমারার প্রতিচ্ছবি চমকায় মুখে!
জগতের যত বড় বড় সাফল্য আনিয়াছে যাহারা
একদিন ওরা শিশু ছিল, আর আজ যেন ধ্রুবতারা!
সর্দি - লালায় ভর্তি হইত যাহাদের কচি মুখ
কে জানিত গো তাহারা ঘুচাবে ধরণী - মাতার দুখ?
ভীত কম্পিত যাহারা কাঁদিত শুয়ে সে মাতৃক্রোড়ে,
উহাদেরি দান আলো ছড়ায় আজ বিশ্বভুবন জুড়ে।
কত জ্ঞানী, কত শিল্পী ও কবি আসিল এ ধরাধামে,
বিশ্বমায়ের মুখে হাসি ফোটে ইহাদের অবদানে।
কত বীর, কত সত্য-সেনানী জন্মিল শিশু হতে,
হুঙ্কারে ওরা টলায়ে দিয়াছে জালিমের মসনদে।
জগতের যত বড় বড় রণে, বড় বড় অভিযানে –
বিজয় এনেছে, - শিশুরূপে ওরা এসেছিল ধরাধামে!
তাহাদেরে স্মরে, আফসোস - স্বরে কহি - "তোরা ফিরে আয়!"
যুগে যুগে হায়! কেন গো ধরায় ওরা নাহি জন্মায়?
আজ সেই শিশু লাঞ্ছিত হায়! বঞ্চিত অধিকারে?
অসহায় সম সারা জন্ম ধরে পথপার্শ্বে রয় পড়ে!
খিদের জ্বালায় ছটফট করে গড়াগড়ি যায় পথে,
নষ্ট এ জাতি অবহেলা করে জাতির ভবিষ্যতে!
উলঙ্গ ওরা! পথে পড়ে সারা গায়ে ধুলো কাদা মেখে,
থুতু দাও সবে স্বার্থান্বেষী বাঙালি জাতির মুখে!
অকারণে ঐ ফুলকলিদেরে কর তুমি যবে আঘাত,
হৃদয় কি তব কাঁপিয়া ওঠে না? কাঁপিয়া ওঠে না হাত?
পরিচর্যার অভাবে কাননের ফুল শুকাইয়া যায়,
বিবর্ণ রূপে রয় ওইগুলো, সুগন্ধ নাহি ছড়ায়।
শিশু, সব ওরা বেহেশতী ফুল, বিপুল শক্তি লয়ে –
ধরণীর বুকে নামে, - এ বিশ্ব ওঠে আগমনী গেয়ে!
প্রকৃতি সাজে নবরূপে, পাখপাখালিরা গান গায়,
তামাম জ্বীন-ফেরেশতা শিশুর কদমে সালাম জানায়!
দুলে ওঠে নভে প্রবল খুশিতে চন্দ্র ও তারাদল,
আকাশ আনত হয়ে চুমে যায় পবিত্র পদতল!
তুমি নিষ্ঠুর! পশুর অধম, তাই তো শিশুর 'পরে –
আঘাত হেনেছ; কোমল হৃদয় বিক্ষত করো ঝড়ে!
ঝরে যায় ঝড় - ঝঞ্ঝায় ফুল প্রবল বাত্যাঘাতে,
জাতির শত্রু! ধ্বংসিতে চাহ জাতির ভবিষ্যতে!
মানবের রূপে দানব-স্বভাব তব বুকে ধরি রও,
দুষ্কর্ম তব ধর্ম, তুমি তো অসুর ,মানুষ নও!
হৃদয় তো নাই – তাইতো দানব-স্বভাব তোমারে নাচায়,
অসুন্দর তো সৌন্দর্যরে সদাই নাশিতে চায়!
আষাঢ়ের কালো মেঘ, সদা রবি আড়াল করিতে চায়,
মেঘ নাহি জানে, রবি সে উদিবে শেষে ফাঁকি দিয়ে তায়!
দানব-স্বভাব নাশিয়া এবার মানব-হৃদয় ধরি',
ঘুমন্ত বিবেক জাগায়ে হতে শেখ সুন্দর-পূজারি!
অমিত সম্ভাবনার শিশুর তেজ কেবা দেবে রুখে?
কে করিতে পারে রোধ, যদি ঝড় ওঠে ঐ বৈশাখে?
কে থামাতে পারে যদি সাইক্লোন ওঠে সাগরের বুকে?
দাবানল যদি জ্বলে ওঠে, তবে কাহার সাধ্য রুখে?
সাগর-গর্ভে বাড়ব-বহ্নি যদি বা ওঠে রে ফুঁসে,
কাহার সাধ্য রোধ করে ঐ অগ্ন্যুদগার এসে?
জ্বলিয়া উঠিতে পারে ছাইচাপা অগ্নি পুনর্বার,
অগ্নিগিরির অগ্ন্যুদগার রুখিবে সাধ্য কার?
অসীম শক্তি শিশুদের মাঝে জ্বলিছে সর্বদাই,
শিশুর সম্ভাবনা ও শক্তি রুখে দেবে - কেহ নাই!
শিশুরাই আশা-ভরসা জাতির – পৃথিবীর সেনাদল,
শিশুরা হাসিলে আনন্দে ধরা কেঁপে ওঠে টলমল!
শিশুরাই আগামীর কাণ্ডারী, ভাবী বিশ্বের নেতা,
শিশুদের তেজে চুরমার হবে হিমালয় সম বাধা!
গাহি সাম্যের গান,
ধনী ও দরিদ্রের শিশু মাঝে নাহি কোনো ব্যবধান।
ইচ্ছা-অন্ধ! দেখনি ক' কত ফুল পথে পথে ফোটে,
শিশুরূপী ফুল অবহেলা করো? – নির্বোধ তুমি বটে!
কত সে মহৎমানব জন্ম নিল ঐ পথপাশে,
মানবস্মৃতিতে অম্লান ওরা, উজ্জ্বল ইতিহাসে।
কত ভাবী ত্যাগী, গুণী ও মনীষী জানো সেথা রয় পড়ে?
যুগে যুগে ওরা সুবাস ছড়াল বিশ্বভুবন জুড়ে।
পথের পার্শ্বে অনাদরে পড়ে রয় সব ফুলকলি,
তুমি বড়লোক! সমাজের মাথা – চোখে আঁটিয়াছ ঠুলি! –
তাইতো দেখিতে পাও না অন্ধ, দেখ আজ ঠুলি খুলে,
পথে পথে কত মুক্তা-মানিক গড়াগড়ি যায় ধূলে!
কয়েছে খোদার রাসূল -
"উম্মাত সে মোর নহে, যে ভালবাসে না শিশু ও ফুল।"
(বি.দ্রঃ
*)রবীন্দ্র – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
*)দুখু – জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
*)যতীন্দ্র – কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী। যিনি 'কাজলা দিদি' নামক বিখ্যাত কবিতাটির রচয়িতা।
*)জ্ঞানপিয়াস বিরুনী – আল বিরুনী। ইনি ছিলেন একাধারে গণিতবিদ, জ্যোতিঃপদার্থবিদ, রসায়নবিদ, দার্শনিক এবং চিকিৎসক।
সারাজীবন এই জ্ঞানপিপাসু মানুষটা নিজকে জ্ঞানসাধানায় নিয়োজিত রেখেছিলেন।
মৃত্যুর পূর্বে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসককে ডেকে উনি ইসলামি উত্তরাধিকার সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের জবাব চান।
তখন উনার নাভিশ্বাস উঠেছে। এই অবস্থা দেখে চিকিৎসক তাঁকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তিনি বলেন – “আমি জ্ঞানের ব্যাপারে অতৃপ্তি নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে চাই না। তাহলে মরেও আমার আত্মা শান্তি পাবে না।“
উপায়ান্তর না দেখে চিকিৎসক তাঁর প্রশ্নের জবাব দিলেন। বিরুনী শান্ত হলেন।
এরপর চিকিৎসক তাঁর শারিরীক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন। বাইরে পা দিয়ে কয়েক কদম সামনে এগিয়ে গেলে শুনতে পেলেন বাড়ির ভেতরে কান্নার রোল উঠেছে। জ্ঞানতাপস বিরুনী আর ইহজগতে নেই।
*) তারিক – সেনাপতি তারিক বিন যিয়াদ। যিনি ৭১১ সনে দুর্ধর্ষ স্পেনরাজ রডারিককে পরাজিত করে সেখানকার নির্যাতিত মুক্তিকামী জনতাকে উদ্ধার করেন।
তারিকের স্পেনজয়ের ঘটনাটা নিম্নরূপ –
৭১১ সনের কথা। মুসলিম সেনাপতি তারিক বিন যিয়াদ ভূমধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনের মাটিতে পা রাখলেন। উদ্দেশ্য একটাই – স্পেনের মাটিতে আল্লার কালেমাকে বুলন্দ করা। ইসলামের আলো ছড়িয়ে দেয়া। মানুষকে সত্যের দিকে আহ্বান করা। কিন্তু বাধ সাধল তৎকালীন স্পেনরাজ রডারিক।
কুফরের ধ্বজাধারী রডারিক সেনাপতি থিওডমিরের নেতৃত্বে প্রায় এক লাখের মত সৈন্য প্রেরণ করলেন তারিকের অগ্রযাত্রাকে রুখে দেবার জন্য। এদিকে তারিক এক অভাবনীয় কাণ্ড করে বসলেন। যেসব জাহাজে করে মুসলিম বাহিনী স্পেনে এসেছিল জিব্রালটারে নেমেই সেসব জাহাজে তারিক আগুন ধরিয়ে দিলেন। বললেন – “গভীর সমুদ্র আমাদের পিছে গর্জন করছে। আর সামনে অন্যায় অবিচারের প্রতীক বিশাল রডারিক বাহিনী। আমরা যদি পালিয়ে যেতে চাই, সমুদ্র আমাদের গ্রাস করবে। আর যদি সামনে অগ্রসর হই, তাহলে ন্যায় ও বিশ্ব-কল্যাণ প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমরা শহিদ হব, নয়তো বিজয়মাল্য লাভ করে গাজী হব। এই জীবনমরণ সংগ্রামে কে আমার পিছে অনুগামী হবে? মুসলিম বাহিনীর প্রত্যেক সৈন্যই বজ্র-নির্ঘোষে তাকবির দিয়ে সেনাপতি তারিকের সাথে ঐক্যমত পোষণ করল।
অতঃপর তুমুল লড়াই হল। একদিকে তারিকের মুষ্টিমেয় সত্যের সৈন্যগণ। আরেকদিকে সাগরের জলরাশির ন্যায় রডারিকের বিশাল সৈন্য। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হল তারিকের এই ঈমানী শক্তিতে বলীয়ান মুষ্টিমেয় ১২০০০ সৈন্যের কাছে রডারিকের বিশাল সৈন্যবাহিনী নিমিষে মাটিতে মিশে যায়। স্পেন করতলগত হয় মুসলিম বাহিনীর!
*) খালিদ - ইসলামের ইতিহাসে অদ্বিতীয় বীর হযরত খালিদ (রা)। খালিদের রণকৌশল ছিল অসাধারণ। যুদ্ধক্ষেত্রে যখন যুদ্ধ করতেন তখন দূর থেকে দেখে মনে হত খালিদ যেইদিকে অশ্বপৃষ্ঠে ছুটছে, সেইদিকে যেন শত্রুর ব্যূহ ভেঙে পড়ছে তাঁর তরবারির আঘাতে।
ইসলামের বড়বড় জয়গুলো তাঁর হাত ধরেই আসে।
৬২৯ খ্রিস্টাব্দে মুতার যুদ্ধে বাইজেন্টাইন বাহিনীকে পরাজিত করার মাধ্যমে তিনি সাইফুল্লাহ (খোদার কৃপাণ বা আল্লার তরবারি) উপাধি লাভ করেন।
*) জোয়ান – পুরো নাম 'জোয়ান অব আর্ক'। জন্ম ৬ই জানুয়ারি ১৪১২ সাল।
পরাধীন ফ্রান্সের মুক্তিদাত্রী বীরকন্যা এবং রূপকথাতুল্য নেত্রী।
জোয়ান অব আর্ক ছিলেন এক দরিদ্র কৃষক পরিবারের কন্যা। জোয়ান যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন ফ্রান্স ইংরেজদের শাসনাধীন ছিল। ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম হেনরির পুত্র ষষ্ঠ হেনরি ফ্রান্সের বৈধ রাজা ৭ম চার্লসকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উৎখাত করলে ফ্রান্সের রাজা পালিয়ে যান।
জোয়ান লেখাপড়া জানতেন না। কথিত আছে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মাঠে ভেড়ার পাল চরাবার সময়ে তিনি দৈববাণী শুনতে পান যে তাকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার ও ফ্রান্সের প্রকৃত রাজাকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল করার জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে।
এরপর জোয়ান অনেক চেষ্টা করে ফ্রান্সের পলাতক রাজা সপ্তম চার্লসের সাথে দেখা করেন এবং দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য নিজের জীবনবাজি রেখে সংগ্রাম করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। রাজা প্রথম দিকে রাজি না হলেও জোয়ানের দৃঢ়তা দেখে তাঁর সৈন্যসামন্তের পরামর্শ অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত রাজি হন।
এরপর জোয়ান প্রায় চার হাজার সৈন্য নিয়ে ১৪২৯ সালের ২৮শে এপ্রিল অবরুদ্ধ নগরী অরলেয়াঁয় প্রবেশ করেন। এরপর একের পর এক অঞ্চল তাঁর পদানত হতে থাকে। জুন মাসে অধিকার করেন রীঈঁ নগরী।
ইংরেজরা তাঁর একের পর এক দুঃসাহসী আক্রমণের সামনে টিকতে না পেরে এক পর্যায়ে ফ্রান্স ছেড়ে চলে যায়। অবসান ঘটে শতবর্ষ ব্যাপী যুদ্ধের।
ফ্রান্সের স্বাধীনতার পর ইংরেজরা জোয়ানকে জব্দ করার ফন্দি আঁটতে থাকে। জোয়ান তখন ক্যাস্পিয়ান শহরের বহির্ভাগে অবশিষ্ট ইংরেজ সৈন্য হটাতে ব্যস্ত। এসময়ে ফ্রান্সের রাজনৈতিক দল বার্গেন্ডি কর্মীরা বিশ্বাসঘাতকতা করে জোয়ানকে আটক করে ইংরেজদের হাতে তুলে দেয়। এরপর এক ইংরেজ পাদ্রীর অধীনে তাঁর বিচারকার্য চলে। বিচারে পাদ্রী জোয়ানের কর্মকাণ্ডকে ধর্মবিরোধী আখ্যা দিয়ে ডাইনি সাব্যস্ত করে পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশানুসারে ১৪৩১ খ্রিস্টাব্দে জোয়ানকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
*) খাতুনে উহুদ আমারা - উহুদের যুদ্ধে যখন মুসলমানেরা বিজয় অর্জিত হয়েছে ভেবে নবীজির নির্দেশ অমান্য করে নিজ নিজ স্থান ত্যাগ করে গণিমতের মাল কুড়ানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তখন কাফেররা এসে অতর্কিতে মুসলমানদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঠিক ঐ সময়ে আল্লার রাসূলকে রক্ষার জন্য উম্মে আমারা ঢাল হয়ে কাফেরদের সামনে এসে দাঁড়ান। প্রাণবাজি রেখে আল্লার রাসূলকে রক্ষা করেন।
যুদ্ধ শেষে মুসলমানদের বিজয় অর্জনের পর উম্মে আমারাকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। সাহাবারা সেবা-শুশ্রূষা করে তার জ্ঞান ফেরান। জ্ঞান ফেরার পর তাঁর মুখে সর্বপ্রথম যে কথাটি উচ্চারিত হয় তা হল –“রাসূল(স) জীবিত আছেন তো?
আল্লাহর রাসূল ওহুদের যুদ্ধে তার শৌর্যবীর্যে মুগ্ধ হয়ে উপাধি দিয়েছিলেন 'খাতুনে উহুদ' বা উহুদের নারী।
এই উম্মে আমারা পরবর্তীতে রাসূল (স) এর মৃত্যুর পর ভণ্ড নবীর দাবিদার মুসাইলামাতুল কাজ্জাবকে হত্যায় সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। )