তুমি সেদিন আমায় বলেছিলে-
তোমার উপর হাত রেখে বিশ্বাস করতেও বলেছিলে,
সরল মনে তোমাকেই বিশ্বাস করেছিলাম।
তোমাকে আমি ঐদিনই বিশ্বাস করেছি-
যেদিন দাদুর মুখে প্রথম তোমার কথা আমি শুনেছি।
যেদিন তুমি আমায় একটুবারের জন্য স্বস্থির বাণী শুনিয়েছিলে-
ঐদিনই বুঝেছিলাম তুমিই আমার একমাত্র ভালোবাসা।
শুনিয়েছিলে তীরবিদ্ধ ভালোবাসার রণাঙ্গণের মধ্যে
যতই ঝড়-তুফান আসুক না কেন, তুমি আমার আমারই থাকবে।
বিশ্বাসতো আমি ঐদিনই করেছি যেদিন মিষ্টি হাসির ঝলকানি দিয়ে
আমায় বারবার বলতে বলেছিলে, বল তুমি শুধুই আমার।
আমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল তোমাকে ঘিরে, কথা কি রেখেছো তুমি?
আমাদের ভালোবাসার সংবাদ শুনতে পেলে-
বন্ধুমহলে সাড়া পড়ে যেতো,
কত ধরনের কত রঙের রস বানিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বলতো-
তোমার আর আমার কথা।
বন্ধুতো আছেই বন্ধুর জায়গায়,
তুমি কি থাকতে পেরেছো রণক্ষেত্রের মাঠে, ভালবাসা যুদ্ধের প্রান্তরে ?
আমি এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত-
লাল ঘোড়া ছুটিয়ে বেড়িয়েছি-
শুধু তোমাকে একবার আলিঙ্গণ করবো বলে,
কোই তোমাকেতো আমি কোথাও পেলাম না।
কতশত সন্যসামন্ত আহত হলো আমার ভালোবাসার বুলিতে
তবে কি আহতদের মধ্যে তুমিও একজন?
তারপরও তোমার অপেক্ষায় ছিলাম তুমি আসবে,
আমার জীবনে সারথী হয়ে ফিরে আসবে একদিন।
তখন রক্তাক্ত ঘোড়ায় চড়িয়ে-
আমি তোমায় নিয়ে যাবো রণাঙ্গণার বেশে
দাদু তোমাকে দেখতে পেলে কতনা খুশি হবে,
পান চিবিয়ে ঠোট দুটি লাল করে, মুখখানা একটু বাঁকা-
করে বলবে, ওরে হতোভাগা ফিরে এলি অবশেষে।
ফিরেতো আমি যাবোই, কিন্তু দাদু!
দাদু কি দেখতে পাবে তোমায়?
তুমি এলে-সত্যি এলে, ভাবিনি এমনরূপে দেখতে হবে তোমায়।
রক্তাক্ত শাড়ি পরে সবুজে রাঙা হয়ে আমার হাতে হাত রাখলে তুমি,
বললে, আমি তোমার স্বাধীনতা, এই আমি তোমারই সেই ভালোবাসা,
ত্রিশ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমকে জলাঞ্জলি দিয়ে,
কতশত বাধা, কতশত ভাইয়ের জন্য বোনের আর্তনাদ ডিঙ্গিয়ে
তবেই তোমার কাছে এসেছি। আমাকে কলঙ্ক দিওনা-
ফিরিয়ে দিওনা আমায়, হে আমার রণক্ষেত্রে যুদ্ধাহত সৈনিক,
আমিও যে তোমাকেই ভালোবাসি।