প্রেমের সুধা মিটাবো আজ আছে যত মনোবল,
শান্তির স্বপক্ষে কথা হবে আজি
ফুটবে ভালবাসার বোল,
প্রেমের বাতাস ছুটেছে হেথায়
খেতে যে আনন্দের দোল।
ভালবেসে ফেলেছি তোমায় হারিয়েছি নিজের গতিরথ-
তুমি না হেরিলে আমার এ তরী খুঁজে পাবেনা শান্তির স্ব-পথ।
তুমি ছাড়া এভূবণ হবে যে মরুভূমি,
হৃদয় জুড়ে বইছে বাতাস অন্তরে শুধুই যে তুমি।
হঠাৎ মাল্লা সুধাইলো মোরে ভাবিতেছি কি কাহারই লাগি?
বলিলাম মাল্লা বুঝোনা হেতা ভেড়াও জলদি আমার এ সুখে ভরা তরী-
স্বপ্নে দেখা কঙ্কনা রূপসী হায়!
গিয়াছে যে আমারে ছাড়ি।
দৌঁড়ে দৌঁড়ে যায় অবুঝ মন কঙ্কনার বাড়ি নাহি মেলে অবেলায়।
হেতায়-হোতায় খুঁজিয়া মরি রূপের বর্ণনা লইয়া,
গায়ের মোড়লে রাগিয়া উঠিয়া কহিল-
তবে দরকার কি তার ঠিকানা দিয়া?
প্রেমের বাণী পৌঁছাতে আসিয়াছি তাহারই সনে,
কহিলেন তিনি-
যে পথ ধরি আসিয়াছো মানব ফিরে যাও সঙ্গোপনে,
নইলে তুমি পড়িবে ফাঁদে আমারও আঁস্তাকুড়ে।
ভয়-ডর মনে নাহি আমার-
দেব বীরত্বের পরিচয়,
ভালোবাসি ভালোবাসতে চাই দেহে আছে যতক্ষণ এ প্রাণ,
কঙ্কনার রূপের সুধা মেটাতে ধরিয়াছি বিজয়ের গান।
মোড়লের ভয়ে দেবনা পাড়ি
যাবো বন্ধির কারাগার,
যাবো সেপথে রূপেরও সুধা করিয়া পান-
রাখিয়া তোমার সম্মান,
শয়নে সপনে লালন করেছি-
অক্ষুন্ন রবে ভালোবাসার মান।
গতিরোধ করি মরনের ফাঁদে ডুবিয়াছে আমারও তরী-
কঙ্কনা নারি এবার হেলিছে আমার এ দু নয়ন ভরি,
হেরেছো তুমি ভালোবাসার লাগি এসেছো আমারই টানে,
দুকোরচে যত সুখ লুটাইয়া পড়িছে আমারই স্বর্গপানে।
সুরেলিকণ্ঠে ডাকিয়া কহিল- চলে যাও হে অবুঝ সন্তান,
করিওনা গুড়েবালি এজীবনে তোমার- রাখিও আমার মান।
আমি যে এক বিবাহযোগ্য নারী
আমারই প্রেমেতে ডুবিয়া মরিছো-
কেন হে স্বপ্নের কান্ডারী?
তোমার প্রেমে ধরা দিতে আমার হবে যে সলিল সমাধি।
দুদিন পরে যেতে হবে তাহারই ঘরে-
যার অন্তরে আমি করেছি উপবাস,
আমারই সোকাশে লুটাইয়া পড়িয়া করিওনা এতবড় সর্বনাশ।
আকাশ থেকে পড়ি আমি কঙ্কনের কথা শুনি-
বাঁচিতে চাহি আমি আরও কটা দিন কঙ্কনের রূপেরও তরে,
বলিলাম আমি-
তোমাকে কেউ ভালবাসে ভালবাসতে চাই-
নির্ঘুম রাতের কোন একসময়ে-
আমি যে তোমায় ভালবাসি ভালোবাসতে চাই-
সারাটাক্ষণ সারাটা মুহুর্তে।