শিল্পীর ব্যাথা
(একটা রবীন্দ্র সংগীত সুর ----- তুই ছেড়ে এসেছিস কারে মন মন রে আমার )
আমি বারবার চিৎকার করে বলি
আমাকে আর প্রলোভন দেখিও না ,আমাকে আর পিছু ফিরে ডেকো না
আমি ছুঁড়ে ফেলেছি সে জগত
হারিয়েছি তার মূর্ছনা , ভুলেছি তার সুষমা
আমাকে আর মায়ার বাঁধনে জড়িও না
তারপরও কেন মিছে আহবান?
কবিতার কাছে প্রশ্ন
কেন রচিত হও আমার জন্য ?
কেন টানো তোমাদের ছন্দে ?
কেন হাতছানি দাও লেখার বাক্যে?
কেন রসায়ন জাগাও প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গে?
সুরের কাছে আকুতি
কেন বাজো আমার হৃদয়ে?
কন্ঠের কাছে জিজ্ঞাসা
কেন নিতে চাও কবিতার মাধুর্য তোমার ঐক্য তানে?
কেন বার বার মনে করিয়ে দাও
আমি তোমাদের থেকেই সৃষ্টি, তোমাদের মাঝেই লালিত।
আমি তো তোমাদের মাঝেই থাকতে চেয়েছিলাম
তবে কেন পারলে না রাখতে?
কেন আমার আজন্ম লালিত কবিতার স্বপ্ন সুধা কে দিতে হলো পাথর চাপা?
কেন আমার কন্ঠ হারালো তার মূর্ছনা?
হাতছানি ই যদি দিবে, তবে
কেন এমন পৃথিবী রচনা করলে না
যেখানে থাকবেনা সংসারের আকণ্ঠ সুখে নিমজ্জিত হবার বাসনা
কেন এমন জগত দিলে না
যেখানে আমি আর কবিতা ছাড়া আর কেউ থাকবেনা।
কেন এমন প্রকৃতি রচিলে না
যেখানে আমার কণ্ঠের সুর লহরী ছাড়া থাকবেনা কোন বিষাদ।
কেন এমন আসর সাজালে না
যেখানে শুধুই প্রশংসিত হবে কবিতা, শুধুই প্রশংসিত হবে কাব্যের সুষমা
কবিতা, রচিত ই যখন হবে, কণ্ঠের মাধুর্য্যকেই যখন টানবে
তবে, রচনা করো না এমন এক জগত,সৃষ্টি করো না এমন এক প্রকৃতি!
সাজাও না এমন এক আসর!
যেখানে আবার, আবার আমি ফিরে আসতে পারি
আমার ছেড়ে আসা কক্ষ পথে।