প্রিয়তমা
একটু তাকাও, ঐ নীল আকাশের পানে
ঘাড়টা বাঁকিয়ে মুখটা উচাও
চাঁদিনি চাঁদের পানে।
মুখটা নামিয়ে একটু তাকাও
লোভে চিক চিক করে
বালুকার মতো জ্বলা
প্রেমিক চোখের পানে।
প্রিয়তমা
কিছু দেখতে পেলে কি?
পেলেনা তো?
তবে তাকাও আছড়ে পড়া জোছনার পানে
রৌদ্র শোভিত সূর্যের পানে
ভেসে বেড়ানো হাওয়ার নীলিমার পানে।
দৃষ্টিটাকে একটু প্রখর করো,
দেখো
রৌদ্র ঝলসিত কাবাব সদৃশ
হৃদয়টার পানে
জিরো সদৃশ আলোকচ্ছটার মতো
নিভু নিভু হয়ে জ্বলা
প্রাণ প্রদীপের পানে।
দেখতে পেলে কিছু? পাওনি তো?
জানি পাবেনা, জানি কিছুই পাবেনা
তুমি কখনো দেখতে পাবেনা
ডানা ঝাপটানো পাখিটার কষ্ট
কখনো জানতে পাবেনা
নদীর পানির জলজ কণা গুলির স্বপ্ন
আকাশের গাঢ় নীলের
ছোপ ছোপ লাল হয়ে উঠার গল্প।
কখনো জানতে পাবেনা
কেন টেবিলের উপর মাথা রেখে
চোখের জল আর হৃদয়ের রক্তক্ষরণ কে
কাব্যের মধ্যে টেনে আনি
কেন খাতার পাতায় কালো রং না দিয়ে
রক্ত লাল রং দিয়ে লিখি
কেন তিলে তিলে প্রাণ প্রদীপ কে নিঃশেষ করি।
প্রিয়তমা
তুমি জানতে পাবেনা, কিছুই জানতে পাবেনা
তোমার বর্নিল দৃষ্টি নেই
নির্লিপ্ত হৃদয়ে ভালবাসার ঝাপটানি নেই
গায়ে মাখার ব্যাথাতুর কষ্ট নেই
খুবই স্বাভাবিক,
তোমার জানার চেষ্টাও নেই।