আজ সংক্ষেপে বলবো,
কবি হবার গল্প।
আমার পূর্ণ নাম,
আশিকুজ্জামান, ডাকনাম আশিক,
আমি ব্যক্তি হিসেবে নির্ভীক,
মানুষ হিসেবে স্বাভাবিক,
আর লেখক হিসেবে রসিক।
আমার জন্ম একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে,
ছিলো না তেমন অভাব বস্ত্র কিংবা আহারে।
শৈশব থেকেই ছিলাম একটু বোকাসোকা,
পাড়ার লোকের কাছে ছিলাম শান্ত খোকা,
আর পরিবারের কাছে ছিলাম একরোখা।
শুধু দুষ্টুমি করতাম সারাক্ষণ,
আম্মুকে করতাম অনেক জ্বালাতন,
উদ্ভট বায়না ধরতাম যখন-তখন।
আমার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে
আম্মু করতো আড়ি,
তাই মাঝেমধ্যে রেগে গিয়ে
দিতো হাতের বাড়ি।
আমিও আবার কাঁদতে কাঁদতে
গড়াগড়ি খেতাম মাটিতে,
আম্মু তখন কান্না থামাতে
মজার খাবার দিতো বাটিতে।
স্কুলে যাবার উপযুক্ত
হয়ে গেলাম যখন,
বাড়ির লোকেরা ব্র্যাক স্কুলে
ভর্তি করলো তখন।
স্কুল জীবন শুরুর দিকে
ছিলাম খুব উদাসী,
পড়ার চেয়ে লেখায় ছিলো
আগ্রহটা বেশী।
তাই হাতের লিখাও ছিলো অসাধারণ,
পাশাপাশি পারতাম ভালো চিত্রাঙ্কন।
মুখস্থ বিদ্যার প্রতি ছিলো
সদা অনিহা,
বানিয়ে লিখার প্রতি ছিলো
ভীষণ স্পৃহা।
সেই ছোট্টকাল থেকেই বানিয়ে লিখতাম
পরীক্ষার খাতাতে,
ফলাফলটাও নিজের অনুকূল পেতাম
সেই খাতার পাতাতে।
তাই বানিয়ে বানিয়ে লিখে লিখে
ছাত্রজীবন করেছি পার,
পারিনি হতে মেধাবী লোকমুখে
নিন্দা শুনেছি বারংবার।
কোনো কথাতে কষ্ট পেলে
সেটা নিয়ে ভাবতাম বেশি,
মনে মনেই গল্প বানাতাম
ছন্দে ছন্দে রাশি রাশি।
কোনো কারণে খুশি থাকলেও
মনে মনে ভাবতাম খুব,
সুন্দর সুন্দর কথা সাজিয়ে
ছন্দের মাঝেই দিতাম ডুব।
ঠিক এভাবে ধীরেধীরেই
ছন্দের প্রেমে পড়ি,
ছন্দের হাত ধরে ধরেই
কাব্যের ভেলায় চড়ি।
তাইতো হতে পারিনি আর,
ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার।
মনের মাঝে এঁকে গিয়েছি
ছন্দময় কাব্যের ছবি,
শত সুখ বিসর্জন দিয়েছি
হয়েছি শৌখিন কবি।