শোনোগো প্রিয় কিংবা প্রেয়সী,
বর্তমান মানবসমাজ অধিকাংশই উন্মুক্ত।
ছেলেমেয়ে নারীপুরুষ আমরা সবাই-ই,
প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে পারিপার্শ্বিকভাবে সংযুক্ত।
তাই তোমাকে অনেকেই
মনে মনে ভালোবাসতেই পারে,
তোমাকে ভালো লাগতেই পারে,
তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেই পারে।
তোমার চোখেও
কাউকে ভালো লাগতেই পারে,
তুমি কাউকে ভালোবাসতেই পারো,
কাউকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতেই পারো।
এগুলো অস্বাভাবিক কিছু নয়,
যেগুলো প্রতিনিয়তই হয়।
তাই যদি মনের কোণে কখনো বাসা বাঁধে কেহ,
তবে তুমি তা সাবলীলভাবে প্রকাশ করে দিও।
সত্যি বলছি কেউ কিচ্ছু মনে করবে না,
জোর করে কেউ কোনো বায়নাও ধরবে না।
হয়তো কেউ মনে মনে কষ্ট পাবে,
কিন্তু দুদিন পর ঠিকই নিজেকে মানিয়ে নেবে।
ধীরেধীরে তোমার থেকে দূরে সরে যাবে,
আর তোমাকে ভালো থাকার সুযোগ করে দেবে।
চলার পথে মতের সাথে মতের অমিল,
চাওয়ার সাথে পাওয়ার অমিল,
মনের সাথে মনের অমিল,
এগুলো থাকবেই।
আবার ভুল পথে হাটাহাটি,
সত্যের মাঝে মিথ্যের রটারটি,
কথার পিঠে কথার কাটাকাটি,
এগুলো ঘটবেই।
কারণ আমরা সবাই-ই সীমাবদ্ধ।
তাই হয়তো মানুষ পরিবর্তনশীল,
আর ভালোবাসাও পরিবর্তনশীল।
তবুও শিশু থেকে কিশোর,
কিশোর থেকে বৃদ্ধ,
সব মানুষই ভালোবাসার ঘোরেই থাকে আবদ্ধ।
আসলে আমাদের মানবসমাজে
কেউ ছাড়তে চায় না ভালোবাসার ভাগ,
কেউ বুঝতে চায় না যে ভালোবাসার ধারক ত্যাগ।
সবাই যে যার মতো করে বাঁচতে চায়,
ভালো থাকতে চায়,
আর সুখী হতে চায়।
তবে নিজে সুখী হতে গিয়ে,
অন্যের দুখের কারণ হয়ে কি লাভ বলো?
যদি ভালোবাসাকে ভালো রাখতে চাও,
তবে নিজ সুখের মায়া ত্যাগ করে
সামনে এগিয়ে চলো।
যদি তোমার ভালোবাসায় অটুট থাকে
শ্রদ্ধা, মায়া-মমতা, ভয়।
তবে জেনে রেখো
কোনো একদিন হবেই হবে
তোমার ভালোবাসার জয়।
পরিশেষে আবারও বলছি শোনো,
যদি পারো কথাগুলো একটু মেনো।
ভালোবাসার মানুষটা যদি কষ্ট দেয়,
তবে কষ্টটা গ্রহণ করতে শেখো।
অভিমান শেষে যদি একসাথে থাকতে চায়,
তবে তাকে যত্ন করে আগলে রেখো।
তোমাকে কাঁদিয়ে সে যদি হাসতে চায়,
তবে তাকে প্রাণ খুলে হাসতে দিও।
আবার মান অভিমান রাগ ভুলে
নিজের ভুল বুঝতে পেরে
যদি সে ক্ষমা চেয়ে তোমার কাছে আসতে চায়,
ভালোবাসতে চায়,
তবে তাকে মন থেকে ক্ষমা করে দিও,
কাছে আসতে দিও,
আর ভালোবাসতে দিও।
জমে থাকা সকল মান অভিমান রাগ ত্যাগ করে
ভালোবাসার মানুষটাকে আপন করে নিও।
মনের রেখো,
"ত্যাগ অহংকার, ত্যাগ অলংকার, ত্যাগই আশা,
ত্যাগেই নিহিত প্রকৃত ভালোবাসা।"