আমি তো এক জাতীয় মামা
ভাগনে-ভাগনির নাই অভাব,
ভাই হিসেবে ছিলাম পাজি
মামা হিসেবে নবাব।
কৈশোর জীবন কেটেছে আমার
মামা ডাকটি শুনে,
ভাগনে-ভাগনির সেই মধুময় ডাক
আজও বাজে কানে।
দুষ্টুমি করতাম কতশত
সেই পিচ্চি মামাদের সাথে,
হাসিঠাট্টায় কেটে যেতো দিন
লুকোচুরি খেলতাম রাতে।
মাঝেমধ্যে দিতাম চিমটি
দু'হাতে কিংবা পায়ে,
মামারা সব কাঁদতে কাঁদতে
লাফিয়ে পড়তো গায়ে।
কাঁধেতে নিয়ে দিলে আদর
থেমে যেত কান্না,
মুহুর্তেই যেন মলিন মুখে
মহাখুশির বন্যা।
এমনি করেই কাটতো সময়
নানান খুঁনসুটিতে,
খাবার সময় বসতাম খেতে
সবাই একই সাথে।
ওগুলো এখন শুধুই স্মৃতি
অনেক দিবস আগের,
ওরা এখন আর সেই পিচ্চি নেই
বড়ো হয়েছে ঢের।