আজকে আমার জন্মদিনে
বলবো কিছু কথা,
জীবন যুদ্ধের এই সফরে
সকল হারা জেতা।
জন্ম আমার নাটোর জেলায়
গ্রামের নাম লালপুর,
নিম্নবিত্ত নানীর ঘরেই
শৈশব হইছে দূর।
স্কুলজীবনটা শুরু হয়
ব্র্যাক স্কুলের চটে,
পাপিয়া আপার সুশিক্ষায়
মেধার বিকাশ ঘটে।
আঁকতে লিখতে বাসতাম ভালো
বসতো না পড়ায় মন,
মাকে বলতাম চলো চলো
যায় বেড়াই সারাক্ষণ।
এমনি করেই হেসেখেলে
ব্র্যাকস্কুল পড়া শেষ,
ঠিক তখনই বাবার সাথে
ছাড়লাম নানীর দেশ।
বাবার বাড়ি আব্দুলপুরে
কদমতলার সাথে,
তখন থেকেই মাকে ছেড়ে
ঘুমের চেষ্টা রাতে।
হাইস্কুলে ভর্তি হলাম
বাবার ইচ্ছেমতো,
হবো একদিন সেরা ছাত্র
করলাম মনে ব্রত।
হাইস্কুলজীবন করলাম শেষ
ফলাফল হয়নি সেরা,
কলেজেতে ভর্তি হলাম
পরিকল্পনা ছাড়া।
তারপর একদিন ভাইয়ের কথায়
মনে জাগলো আশা,
পরীক্ষা দিলাম দুই জায়গায়
পেলাম নতুন দিশা।
শুরু হলো নগর জীবন
রাজশাহীর ঐ বুকে,
বাবা-মামার অর্থায়নে
ছিলাম বড়োই সুখে।
দেখতে দেখতে চারটি বছর
হয়ে গেলো পারাপার,
নামের শেষে যুক্ত হলো
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার।
ঠিক তখনই হঠাৎ করে
বাবার হলো ব্যামো,
যে ব্যামোটার নায় নিরাময়
ওষুধ শুধু ক্যামো।
বাবার কথা চিন্তা করে
পড়া দিলাম ছাড়ি,
প্রতিবেশিদের হাত ধরে
ঢাকায় দিলাম পাড়ি।
ঢাকায় এসে পেলাম চাকরি
ছোট থেকে বড়ো,
বাবার দেহে ব্যামোর ব্যথাও
হচ্ছে আরো দৃঢ়।
ব্যামোর ব্যথায় পাগল হয়ে
বাবা কাঁদতো জোরে,
দুটি বছর যুদ্ধ করে
বাবা গেলো হেরে।
তখন থেকেই চলছি একা
করে যাচ্ছি যুদ্ধ,
বাবার দেয়া শিক্ষা মেনেই
নিজকে করছি শুদ্ধ।
নামাজ শেষে দোয়া করি
প্রিয় বাবার জন্য,
বাবার শিক্ষা দিয়েই যেন
হতে পারি ধন্য।