মৃত্যু আমায় ডেকেছে বারবার
এসেছে খুব কাছে,
ভয় দেখিয়ে ফিরেছে আবার
তাইতো আছি বেঁচে।
যখন আমি ছোট্ট ছিলাম
কেবল হাটতে শেখা,
তখন জলে ডুবেছিলাম
মৃত্যুর সনে দেখা।
কাঁচা বয়সেই সংগ্রাম শুরু
মৃত্যুর প্রথম ধাক্কা,
আম্মু ছিলো ততকালীন গুরু
আম্মুর হাতেই রক্ষা।
মধুর ছিলো শৈশব স্মৃতি
ছিলাম বড্ড পাজি,
খেলাধুলাতেই মাতামাতি
সদা বায়না বাজি।
মনটা বেশী খুশি থাকলে
করতাম ছুটোছুটি,
আম্মু একটু বকা দিলে
রেগেই লুটোপুটি।
দেখতে দেখতে বড়ো হয়ে
স্কুলে পদার্পণ,
পাঠ্যপুস্তক কাঁধে নিয়ে
জ্ঞানের কোলে অর্পণ।
একদিন ঘটে দুর্ঘটনা
স্কুল যাবার পথে,
চলতি ভ্যানে দেয় যে হানা
জখম হয় পা-হাতে।
জখম হওয়া অংশগুলো
ধীরেধীরে শুকায়,
হয়না বিলীন সে দাগগুলো
সুস্পষ্ট দেখায়।
তারপরেই হয় স্কুল বদল
প্রাথমিক থেকে ব্র্যাকে,
ভিন্নরকম বিদ্যার আদল
প্রশংসিত চারদিকে।
চলতে থাকে নিত্য পড়াশোনা
ঘটে মেধার বিকাশ,
এসেছে বিপদ না শুনে মানা
হয়নি করা প্রকাশ।
প্রাথমিক পেরিয়ে মাধ্যমিকে
যখন দিলাম পাড়ি,
তখনও পাই ভয় জলাভূমিকে
সাঁতার নাহি পারি।
সপ্তম শ্রেণীতে থাকতেও একদিন
গভীর জলে ডুবি,
খোদার দয়ায় প্রাণ বাঁচে সেদিন
শ্বাসকষ্ট হয় খুবই।
কোনোদিন কারো হাতটা ধরে
হয়নি জলে থাকা,
অল্প জলে যত্ন করে
একাই সাঁতার শেখা।
সাঁতার শেখার পর বহুদিন
আসেনি মৃত্যুর ডাক,
বেড়েছে তবে দিনকে দিন
দেহেতে রোগের ঝাঁক।
মৃত্যু আমায় ডেকেছিলো আবার
বছর দেড়েক আগে,
মৃত্যুপুরী ছিলো এফ. আর. টাওয়ার
ঢাকার অগ্রভাগে।
খোদার অশেষ রহমতে
জীবন হয়নি গত,
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজেতে
তাই হয়েছি রত।