বিধি-নিষেধের পূর্ণ আদবে খুঁজতে
হবে নতুন পাথেয়। সংগ্রহ করতে
হবে ঈমানের পুঁজি। মনের আসনে
আজ শুধু খোদা তা'লা। আল্লাহর পথে
পথিক আমরা সৃষ্টি। সঠিক পথের
খুঁজে রমজান দ্বারে। মনে লেগে থাকা
কলুষ মুছিবো নিত্য। ইসলাম আজ
নিয়ে যাবে মসজিদে। আলোক পথের
পথিক আমরা দ্বীনে। আলো ছড়িয়ে
দেখাই পথের ধাপ। যেই পথে হাসে
আমার রাসূল নূর। সত্যের সৈনিক।
মুছিয়ে সকল পাপ। মুক্তির আনন্দে
এমন জীবন গড়ি। নিস্পাপ আমরা।
এই পথে আলো জ্বালি। কুর-আনি আলো।
অমিত্রাক্ষর ছন্দঃ
*বাংলা ভাষায় অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করেন- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
*অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রধান বৈশিষ্ট্য ভাবের প্রবহমানতা; অর্থাৎ, এই ছন্দে ভাব চরণ-অনুসারী নয়, কবিকে একটি চরণে একটি নির্দিষ্ট ভাব প্রকাশ করতেই হবে- তা নয়, বরং ভাব এক চরণ থেকে আরেক চরণে প্রবহমান এবং চরণের মাঝেও বাক্য শেষ হতে পারে।
*বিরামচিহ্নের স্বাধীনতা বা যেখানে যেই বিরামচিহ্ন প্রয়োজন, তা ব্যবহার করা এই ছন্দের একটি বৈশিষ্ট্য।
*অমিত্রাক্ষর ছন্দে অন্ত্যমিল থাকে না, বা চরণের শেষে কোন মিত্রাক্ষর বা মিল থাকে না।
*মিল না থাকলেও এই ছন্দে প্রতি চরণে মাত্রা সংখ্যা নির্দিষ্ট (সাধারণত ১৪) এবং পর্বেও মাত্রা সংখ্যা নির্দিষ্ট (সাধারণত ৮++৬)
উদাহরণ-
তথা
জাগে রথ, রথী, গজ, ∣ অশ্ব, পদাতিক ∣∣ (৮+৬)
অগণ্য। দেখিলা রাজা ∣ নগর বাহিরে, ∣∣ (৮+৬)
রিপুবৃন্দ, বালিবৃন্দ ∣ সিন্ধুতীরে যথা, ∣∣ (৮+৬)
নক্ষত্র-মণ্ডল কিংবা ∣ আকাশ-মণ্ডলে। ∣∣ (৮+৬)
(মেঘনাদবধকাব্য; মাইকেল মধুসূদন দত্ত)
এখানে কোন চরণের শেষেই অন্ত্যমিল নেই। আবার প্রথম বাক্যটি চরণের শেষে সমাপ্ত না হয়ে প্রবাহিত হয়ে একটি চরণের শুরুতেই সমাপ্ত হয়েছে (তথা জাগে রথ, রথী, গজ, অশ্ব, পদাতিক অগণ্য)। এই অন্ত্যমিল না থাকা এবং ভাবের বা বাক্যের প্রবহমানতাই অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রধান দুইটি বৈশিষ্ট্য।
কবিতাটি এই ছন্দের নিয়ম মেনে লিখা হয়েছে, সবার ভাল করে জেনে পড়ার স্বার্থে তুলে দিলাম। ত্রুটি থাকলে ধরিয়ে দিয়ে সহায়তা কামনা করছি।