একটা কবিতা লিখবো,
কবিতার নাম হবে একটি সুইসাইড নোট।
আমার কষ্টগুলোকে সুন্দর করে সাজিয়ে,
হৃদয় ছোঁয়া শব্দের গাঁথুনিতে প্রকাশিত হবে কবিতার ভাষা।
কালজয়ী হবে আমার লিখা একটি সুইসাইড নোট!
যেই পড়বে ভেসে যাবে চোখের জলে,
ভিতর কেঁপে উঠবে শুধু আমারই কষ্টের কথা বলে।
একটা গল্প লিখবো,
গল্পের নাম দিবো আমি মরেও বেঁচেছিলাম।
প্রতিটা লাইনে বর্ণিত হবে আমার দৈনন্দিন বুকের জমে থাকা ব্যথা,
একটা স্মরণীয় নাটক নির্মাণ হবে গল্পটার চিত্রনাট্য দিয়ে,
পাঠক পড়ুক কিংবা দর্শক দেখুক আমার ব্যথায় মোচড় দিবে তাদের বুকেও!
বহুদিন আমার কষ্টের কথা ভেবে নির্ঘুম রাত যাপন করবে,
আমার গল্পের নাটক শতভাগ সার্থক হবে।
একটা উপন্যাস লিখবো,
উপন্যাসের নাম দিবো আমি একটা জীবন্ত লাশ।
পাতায় পাতায় লিখে যাবো আত্মহত্যার সামনে দাঁড়িয়ে কেমন করে বেঁচেছিলাম,
একটা সিনেমা হোক আমার উপন্যাসের কাহিনী ঘিরে,
বহুদিন পরে একটি মৌলিক গল্পের বাংলা সিনেমা,
পাঠক পড়বে, সিনেমায় দেখবে কী নিদারুন কষ্ট বুকে চেপে ধরেও বাঁচা যায়।
সিনেমা অলটাইম সুপারহিট, উপন্যাস পাঠক প্রিয়তার শীর্ষে,
বিলাসবহুল ড্রয়িং থেকে চায়ের টং এ আমার কষ্ট ঘিরে জোর আড্ডা!
একটা গান লিখবো,
মইরাছিলাম প্রাণ থাকিতেও শিরোনামে।
প্রতিটা লাইনেই নিদারুণ হতাশায় বেঁচে থাকার কথা,
লোকজ সুরে গাওয়া হবে আমার রচিত গানখানি,
শ্রোতামহলে সাড়া ফেলে দিবে গানের কথা ও সুর,
মুখে মুখে শোনা যাবে আমার গানের কলি,
কেউ বুঝে কেউবা না বুঝেই গানের কথার কষ্টে হা হুতাশ করবে।
ঠিকঠাক মরে যাওয়ারও জন্যও তো একটা প্রস্তুতি চাই,
নাকি!
সব হয়ে গেলে একদিন ঠিকঠাক চিরতরে ঘুমিয়ে যাবো ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়,
তবুও আমার বেঁচে থাকার খায়েশ,
আমার গান, গল্প, কবিতা আর উপন্যাসের মাঝে,
কেউতো আমায় স্মরণ করবে,
সকাল কিংবা সাঁঝে!
রচনাকাল - ১৬/০৬/২০১৯ইং, বেলা ১২টা।