মাতবর বাড়ি বিশাল বড় দাওয়াত। মাতবরের বাপ বড় মাতবর মরছে, তাঁর আইজ চল্লিশা। কয়েকটা করে গরু খাসি জবাই দিছে। গাঁয়ের প্রত্যেক ঘর থেকে একজন করে দাওয়াত পাইছে। হত-দরিদ্র দিনমজুর করা কলু মিয়া নিজে না গিয়া পোলাডারে দাওয়াতে পাঠায়, দুপুরের দাওয়াত!
মাতবর বাড়ির আঙিনায় তাবু টানাইছে, তাবুর নিচে চেয়ার টেবিল। বহুত লোকের সমাগম। কলু মিয়ার পোলাডা কোণায় একটা চেয়ারে গিয়া বসে। পাশে বসে সমাজের সভাপতির পোলায়, সভাপতিও আসতে পারে নাই, কোন এক ঝামেলায় পড়ে।
সবার প্লেটে গোশত আছে, কলু মিয়ার পোলাডার প্লেটে সেই যে দুই টুকরা হাড্ডি - গোশত দিয়া গেছে, আর কেউ ফিরেও দেখেনি, এরপর আরও দুই-তিনবার সভাপতির পোলারে সালুন দিয়া গেছে, কলু মিয়ার ১০/১২ বছরের পোলাডা চাইয়া থাকে, গ্রামের স্কুল মাস্টার সালাম বিশেষ নজর দিয়ে সবাইকে খাওয়াচ্ছেন, শেষবার সভাপতির পোলাডারে সালুন দিতে এলে, কলু মিয়ার পোলাডা লোভ সামলাতে পারে না, বলেই বসে -
- কাক্কা আমারে ইট্টু সালুন দেন।
সালাম মাস্টার চিল্লাইয়া উঠে, ডাইল দিয়া খাইয়া ভাগ ব্যাটা! আর কত খাবি! আরও কতো মাইনষের খাওন বাকী জানস!
এদিকে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে এলাকার চেয়ারম্যান চলে আসেন, সবাই তাদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে!
রচনাকাল - ১৮/০৫/২০২০ইং, ঢাকা। রাত ২টা ১৫ মিঃ।