সেদিন সূর্যাস্ত দেখেছিলাম।
হয়ত সেদিনই আমার আত্ম-অহমিকার সূর্যাস্ত হয়েছিল।
তাই আর কখনও ফিরে যাব না সে স্থানে
আমার অস্তিত্বের পাপমোচনে।
আর যাব না সে স্থানে,
যেখানে দেখা রোজকার সূর্যোদয় থেকে
উদিত হয় শত সহস্র পাপ, লজ্জা, ঘৃণা।
জন্ম নেয় দুঃস্বপ্নের ভ্রুণ,
আর সাথে সাথে মৃত্যুবরণ করে
লক্ষ কোটি পথভোলা ইচ্ছের দল।
সেখানে সারাটা দিন ছিল এক বিষাক্ত মুগ্ধতা
আর ছিল কিছু বিরক্তির অমৃতসুধা।
এরপর এলো বহু আকাঙ্ক্ষার সে অনাকাঙ্ক্ষিত সূর্যাস্ত,
যার মধুর স্মৃতি আজও রেখে যায় কিছু দুঃস্বপ্নের রেষ।
যে দুঃস্বপ্ন থেকে আত্ম-অহমিকা বিদায় নেয়,
আর গড়ে তোলে যন্ত্রণায় ঘেরা এগারো মাসের বিষণ্ণতা।
এরপর সেখানে রাত্রি ঘনায়, পূর্ণিমা থেকে অমাবস্যায়।
পূর্ণিমার রাত সেখানে হয় চন্দ্রহীন, আলোহীন,
যেন সে এক রাহুর গ্রাসে সত্ত্বা হারানো তারকারাজী।
এরপর সে আলোহীন জীবনে লেপটে যায় কালিমা।
যে কালিমা কোন চোখকে আলো দেখতে দেয় না,
আবার আলোর মাঝেই ভস্ম করে দেয় তার সব অহমিকা।
সূর্যোদয়ের সময় হয়ে আসে, কিন্তু সূর্য আর উদিত হয় না।
ডুবন্ত সূর্যের আলোহীন ছায়া যেন বারবার ফিরে আসে।
মনে হয় সূর্যের দেখা পেতে সহস্রাব্দের অপেক্ষা চলবে।
আর মনে হয়, পিট সিগ্যার আমার স্বপ্নে এসে বলছে,
"Let the sun rise again.
Let the disgrace being overturned,
As if a toxic treasure flees out of your vein,
And let your brain ready to see a new sun".
না সিগ্যারকে আমি কখনও দেখেছি,
আর না সে কখনও এমন কথা বলেছে।
শুধু অনুভব করেছি আমার সে বিশ্বাস,
যা আমায় এক দুর্বিষহ রাজ্যের রাজা বানায়,
এরপর দেখিয়ে দেয় সে রাজ্যে
এক আত্ম-অহমিকার হত্যাকারী সূর্যাস্ত।
হাসতে হাসতে পালিয়ে এসেছি সে রাজ্য থেকে।
আর কখনও ফিরে যাব না সেখানে,
যেখানে শত সূর্যাস্ত ঘটে প্রতিদিন,
কিন্তু সূর্যোদয় হয় মাত্র একবার।