আমার দুঃস্বপ্নের প্রতি রাতে
এক অবয়ব চোখে ভাসে
কি মায়া কি মায়া
তার হৃদয়ে নেই কালিমা।
"তুমি আমাকে ঘৃণা করতে পারো,
তবুও আমি তোমার কণ্ঠে কখনো গোলাপ কাঁটা দাবি করবো না।
জীবনের প্রতিক্ষণে যদি তোমার খোঁজে মৃত্যুর ফরমান আসে,
আমি সাদরে দাঁড়াব সে মৃত্যুদুয়ারের সামনে।
ঘৃণিত ব্যক্তিটি ঘৃণার রাজ্যে আর করবে না প্রেমের সন্ধান,
কথা দিয়ে যাচ্ছি সে মৃত্যুলাভের পূর্বে।"
কথায় বাড়ে কথার খেলা
কথার জাদুতেই কথাগুলো দিশেহারা
সেই কথার মায়া তার মায়াবী চোখে
ধরা পরতে গিয়েও ধরা পরে না
স্বপ্নগুলো দুঃস্বপ্নের ধাঁধা
ভাঙতে কভুও জানে না।
"এরপর তুমি আর আমার সামনে দাঁড়াতে চাও না!
আমার প্রতিটি কথা বিষাক্ত বাণের ন্যায়
তোমার কর্ণে বুঝি আঘাত করতে থাকে।
অথচ আমার হৃদয়ের আঘাত তুমি কখনো দেখতে চাওনি।
তবুও আমি তোমার কোন আঘাতকে উপেক্ষা করবো না;
হোক সে আঘাত ব্যথাহীন, অথবা নরকযন্ত্রণাসম।"
সে যন্ত্রণার হবে ব্যবচ্ছেদ
আজ সর্গ-নরকের ভেদাভেদ
ভুলে হারিয়ে যাবে সব অদৃষ্ট সত্য;
আর মিথ্যের প্রলোভনে আসবে যেন
আশায় ভেলায় পরিশুদ্ধ কোন
সর্গগামীর অযাচিত মৃত্যু।
"আমি তো বহুকাল সেই নরকেই বাস করছি।
নরকযাত্রার প্রতিজ্ঞায় যে লোকটি আমরণ স্থির ছিল,
সে ও আজ সর্গের পথ ধরেছে।
আর আমি! সর্গসুখের খোঁজে নিয়েছি স্বেচ্ছা নরকবাস।
তবুও তুমি সুখে থাকো, আলোকোজ্জ্বল হোক তোমার জীবন।
আর সর্গের প্রবেশদ্বারে অপেক্ষা করো অন্য কোন নরকীয়ের আশায়।"
সর্গের আলোটাও নিভে যায় দিগন্তে
আগুনের ধারা দেখে দুটি চোখ দু প্রান্তে
মৃত স্বপ্নেরা জীবন ফিরে পায় শুধু তোমার আশাতে;
তোমার আমার দেখা হবে নরকের শেষ দৃশ্যে।