ঐ বোবা লোকটিও আজ কথা বলতে চায়,
কে বুঝবে তার কথা?
ঐ কর্কশ কণ্ঠ ছেলেটিও আজ গাইতে চায়,
কে শুনবে তার গান?
নিরক্ষর মেয়েটি রচনা করেছে এক মহাকাব্য,
কে লিখে দেবে তার সে বাণী?
ড্রয়িং এ শূন্য পাওয়া শিশুটি আঁকতে চায় মায়ের ছবি,
কে তাকে ধরা শেখাবে পেন্সিল?
হয়ত আমার লেখা গানটিও কেউ গাইবে না,
আমি তো পারি না কণ্ঠে আনতে সুর,
তবে আমার অন্তরের স্বর তারা বুঝবে কিভাবে?
আমার লেখা কবিতাটিও তুমি বুঝবে না,
আমার মনের মত করে তা পড়তে পারবে না,
কারন আমি তো সে বোবার মত, নিরক্ষরের মত,
কিংবা ড্রয়িং এ শূন্য পাওয়া শিশুটির মত
এক ব্যর্থ প্রয়াস করে যাচ্ছি অবিরত।
আর সে কর্কশ কণ্ঠ ছেলেটির মত
গান শুনিয়ে অবিরত বিরক্ত করেছি তোমায়।
তবু আমি কোন বালকের ধার করা কবিতার আশ্রয় নেব না,
শোনাব না আমার নামে কোন ধার করা রেকর্ডিং,
সিংহের স্রষ্টা যে পিপীলিকারও স্রষ্টা
সে কথা নিশ্চয় জানা আছে তোমার।
আমার যা আছে তা নিয়েই আমার রাজ্য,
সে রাজ্যে আমি রাজাও হতে পারি,
আবার প্রজাও হতে পারি।
সব রাজ্য যদি শুধু রাজারই সম্পত্তি হয়,
তবে প্রজার ভুখন্ড কোথায়?
যদি তুমি শুধু রাণী হওয়ার লক্ষে থাকো,
তবে আমার ভূমি তোমার জন্য নয়।
আমি বুঝব সে বোবার কথা,
শুনব সে কর্কশ কণ্ঠে গান,
লিখে দেবো সে নিরক্ষর নারীর মহাকাব্য,
আর একশো দিয়ে দেবো
শূন্য পাওয়া শিশুর ভালোবাসায় আঁকা মায়ের ছবিতে।