কিছু নারী এসেছিল
সমাজ শিকলের কিছু বিভেদ ঘোচাতে;
কিছু নারী এসেছিল
লাঞ্ছনা গঞ্জনার বিরুদ্ধে অগ্নিমশাল জ্বালাতে;
কিছু নারী এসেছিল
পুরুষের অনধিকার চর্চায় সীমা বেঁধে দিতে;
কিছু নারী এসেছিল
অধিকারের প্রতিটি ধারায় ভাগ বুঝে নিতে;
কিছু নারী এসেছিল
মানসিক দাসত্ব থেকে নিজেদের মুক্ত করতে;
কিছু নারী এসেছিল
শিক্ষার আলোয় এক শিক্ষিত জাতি উপহার দিতে;
কিছু নারী এসেছিল
এক আদর্শ কন্যা থেকে আদর্শ মাতা হতে;
কিছু নারী এসেছিল
দুঃস্বপ্ন ভেঙ্গে স্বপ্ন দেখার অধিকার খুঁজতে।
আজও তারা আসে,
আর এসে নিজেদের ধিক্কার দিতে শুরু করে,
তাদের মৃত আত্মারা লজ্জায় পুনরায় আত্মহত্যা করতে চায়।
তারা চেয়েছিল নারী পুরুষের বৈষম্যহীন
একটি সুন্দর বাসযোগ্য দাসত্বহীন সমাজ।
কিন্তু হায়! আজ দেখি নারীতে নারীতে বৈষম্য,
আজ দেখি পুরুষে পুরুষে বৈষম্য।
কিছু কুলাঙ্গার পুরুষের অত্যাচারে অতিষ্ঠ কিছু নিরীহ নারী।
সে কুলাঙ্গার পুরুষের সাথে স্বেচ্ছা সহবাস নারীনেত্রীর,
তাতে জন্ম নেয় আরো কিছু কুলাঙ্গার পুরুষ,
সাথে কিছু কুলাঙ্গার নারী।
শুরু হয় পুরুষে পুরুষে বিভেদ, শুরু হয় বৈষম্য।
নির্যাতিত নারীর জন্য করা হয় আইন,
যার ফল ভোগ করে কিছু কুলাঙ্গার নারী,
নির্যাতিত হয় পুরুষ, হারায় তার পুরুষত্বের অধিকার।
কুলাঙ্গার পুরুষ ধর্ষণ করে নারীকে,
দোষ হয় পুরো পুরুষ জাতির,
অথচ কুলাঙ্গার নারীর কোন দোষ নেই,
তারা সতী সাধ্বী অবলা নিষ্পাপ,
ঠিক যেন সাত খুন করা এক রাজনৈতিক নেতার মতো।
কিছু নারী এসেছিল
যারা চেয়েছিল নারী অধিকার,
চেয়েছিল সমাজ সংস্কার।
তারা আজও আসে,
আর দেখে নারীর কাছে নারীর দাসত্ব,
পুরুষের কাছে পুরুষের দাসত্ব,
সর্বক্ষেত্রে দেখে অত্যাচারীর পৃথিবীতে সর্গবাস।
তারা আর সেখানে থাকতে পারে না।
তাদের মৃত আত্মারা তাই প্রতিনিয়ত
শুধু আত্মহত্যা করতে থাকে।