অগ্নিধারার গুরুবর্ষণে স্তিমিত অভিপ্রায়,
নিপীড়িত অস্থির নিঃশেষ চেতনায়
কার ডাকে লৌহকপাট ভাঙ্গে সুদূর কল্পনায়?
দুঃস্বপ্নের নতিস্বীকার আজ দ্রোহের অন্তরায়।
অত্যাচারীর জাগরণ আজ প্রভাতের মহা বাণী,
শ্রমিকের শব শ্রবণ করে শোষকের জয়ধ্বনি!
জ্ঞানের আলোকে জাগ্রত হলো জ্ঞানপাপীদের খনি,
পুরুষাঙ্গের তীক্ষ্ণ বিচারে বেশ্যাই আজ রাণী।
রাজার হস্তে রাজা নষ্ট দাসীর গৃহের দ্বারে,
প্রেমদাস তাই কেঁদে মরে এক করুণ শোকের তরে।
ধর্ষিত হয় কুমার-ভগিনী, ধরণী নেশার ঘোরে;
বিদ্রোহগীত থমকিত হয় নৃপতির ক্ষীণ স্বরে।
মহামানব হয় মৃত বাইঞ্চোদ, জ্যান্ত দেবতা পশু;
রাহুগ্রাসে তাই দেবীর মুখে অসুর করছে হিসু।
সেখান থেকেই জন্ম নিলো লাখো মহাপাপী শিশু,
মেঘমন্দ্রিত সুধা খোঁজ করে ধরণীমেরীর যিশু।
ঝঞ্ঝা করে যুদ্ধ ঘোষণা অগ্নিধারার সাথে
ভীত হয়ে যায় স্রোতস্বিনী মহাকালের স্রোতে
নষ্টেরা করে রুজি বন্টন প্রতিটি নষ্ট প্রাতে
ভুখা রয়ে যায় অগ্নিগ্রাসী শ্রমসেনা প্রতি রাতে।
অগ্নিধারার মহারণে তাই রণবীর নিদ্রিত,
মৃতসজ্জায় সেনাপতি, কাজী, উজির সব শায়িত;
স্বপ্নবাজের অকালমৃত্যু, দুঃস্বপ্ন পরিনত;
আত্মগ্লানিতে ভষ্ম আমি, ছাই চাই আর কত?