শুনো হে মুয়াজ্জিন!
তোমার কন্ঠে আজান শুনিয়া শুরু হোক মোর দিন।
আজান, আজান,এ যে আহ্বান,আল্লাহর ঘরে যাওয়ার,
আজান,আজান,এ যে আহ্বান,প্রভুর সন্ধান পাওয়ার।
আজানের ধ্বনিতে বাতাস মধুময়,ঢেউ উঠে পারাবারে,
আজান শুনিয়া মোরা প্রভুরে স্মরণ করি বারেবারে।
আজানের ধ্বনি বাতাসে বাতাসে পৌছে যখন কানে,
মনে হয় বুঝি মুয়াজ্জিন মোদের ডাকিছে জান্নাত পানে।
কত মুসলিম ছুটিয়া যায়,শুনি আজানের সুর,
ধনী দরিদ্র একত্রে দাঁড়ায়, ভেদাভেদ হয় দূর।
ফজরের আজান! কত সুমধুর সাক্ষ্য দিচ্ছে কি?
ঘুম হতেও অধিক উত্তম প্রভুর বন্দেগী।
আজানের সুরে প্রকাশিত হয় আল্লাহর একত্ববাদ,
আজান শুনিয়া মনে পড়ে যায় উমরের প্রতিবাদ।
আজানের এত গুন জানিয়া নজরুল বলে তাই,
"মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই,
যেন গোরে থেকেও মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।
গোর আজাব থেকে এই গুনাহগার পাইবে রেহাই।"
আল্লাহু আকবর!আল্লাহু আকবর!ধ্বনি রুখিবে মহাপ্রলয়,
আজান শুনিয়া কাঁপিবে মুমিনের অন্তর-হিমালয়।
তাই শুনো হে মুসলমান!
তাড়াতাড়ি মসজিদে ছুটে যাও শুনিয়া আজান।
হয়তো ইহা জান্নাত পানে সবিশেষ আহ্বান।
সফল হোক আজানের ডাকে জান্নাত-অভিযান!