কারা যেন ডাকছে আমায় শহরের হৃদয় ভাঙা হাতছানি দিয়ে
জৈবিকতা আর প্রেমিকার চঞ্চল চোখ নিভে গেল অবেলায়
তারপর আমি ফিরে আসি নিজের কাছে; আপন অস্তিত্ব নিয়ে
তোমাদের পথে, ঘাটে, মাঠে যেসব ফুলেরা পড়ে থাকে অবলীলায়
হায়- আমি সেই ফুলের জীবনের মতো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি কেবল
মানুষের জন্ম-মৃত্যুর তামাশা দেখে-দেখে যে-জীবন পাড়ি দিয়ে এসেছি
তার থেকে ভালো তিতাস; তার বুকে শিশুর মতো খেলা করে টৈটুম্বর জল
আমার এখন অন্ধকার ভালো লাগে; চোখ মেলে, চোখ বুজে দেখছি
যৌনির ভেতর পর্যন্ত অন্ধকার। জন্ম, মৃত্যু, ভয়, বিচ্ছেদ
ঘানির বলদের মতো ঘুরছে, ঘুরে-ঘুরে করছে হৃদয়-চ্ছেদ
আমার বিলুপ্ত হৃদয়ের পাশে অর্ধ চাঁদ জেগে-জেগে ঘুমায়
কখনো কবিতা তারে পরিপূর্ণে জাগিয়ে তুলে উরখুলিয়ায়
এ-যেন জন্মের স্বাদ নিয়ে আবার হারিয়ে যাই ধাত্রীর কোলে
জন্মের পরে আমার মায়ার বিভ্রম চোখ সে'ই প্রথম দেখেছিল
বিভ্রমে বিভ্রান্ত এই জীবন; বিরহ শুধু অদল-বদল করে জ্বলে
কেউ কি জানো? পৃথিবীর কোন পথে গেলে মুছে যাবে অবসাদ
এইসব ভেবে-ভেবে ভেঙে যাই,কোথায় গেলে পাবো শান্তির স্বাদ