আমার ডায়েরী বুকে অসংখ্য আঁকা ছবি...
একটা মায়া মুখের উপর ছড়িয়ে থাকা পুড়ো নিকোটিন গুড়ো,
ভাঁজে ভাঁজে জমানো ভুষি।
এক খণ্ড চাঁদ, এই তো সেদিন এনে রেখেছিলাম!
তার উপর পাতার চাপে লেপ্টে গেছে বা-দিকের রঙ।
সে পাতায়ও আঁকা ছিল- আগন্তুক এক বিভীষিকা...
এখানে, একটা পাতার চোখে এলোকেশী এক বালিকা
হাঁটতে হাঁটতে রপ্ত করছিল কিছু কবিতা...
এখনো এই চশমায় সমান তালে হাঁটে সে,
বীর ভিড় করে,সেদিনের মতো আবারও আমার বুকে।
এখানে একটা নদীও আছে।
সকালবেলার বালুচর; নব্বই-এর
কোনো এক শীতে ধরে রেখেছিল আমার কিশোর...
আরো আছে আরো আছে অনেক অনেক।
এইসব শবের ছেলে আমি!
মুখাগ্নির সাহস করিনি যখন মরেছিল তারা
কিংবা নাগালে খুঁজে পাইনি আগুন...
আজ, পচে গলে সব মাংস ঝরে গেছে শব-দের!
বিছানায় শুধু শুধু স্ক্যালিটনের ভীড়...
ভাবছি, কোনও এক বায়োলজি ল্যাবে সব তুলে দেব ।
কিন্তু ওরা কী পড়বে ছবির স্ক্যালিটন!
শুনেছি, ওরা শুধু পড়ে স্ট্রেচারের থ্রিডি শব...
তাহলে থাক আর। থাক শব ছবি
নিকোটিনে মুখগোঁজে আমার ডায়েরীর ভেতর...