প্রেমের বসন্ত তো আর সারা জীবন থাকবে না।
একটা সময় ঠিকই চলে যাবে।
হয়তো মনের বাগানে
নানান রঙের ফুল ফুটেছিলো একদিন।
একদিন হয়তো কোকিলও ডেকেছিলো।
হয়েতো দখিনা বাতাস প্রেমের আভাসে
খোলা চুলে ঢেউ খেলিয়েছিলো।
হয়তো সাগরের পাড়ে লাল কাঁকড়াও
আশেপাশে ছোটাছুটি করে
ভালোবাসার নাম লিখেছিলো।
হয়তো সেদিন মনের জমিটুকু
তোমার নামে লিখে দিয়েছিলাম।
কিন্তু কেটে গেল বসন্ত।
চলে গেলো ফুলের সুবাস।
উড়ে গেলো সেই সুকন্ঠী কোকিলও।
গ্রীষ্মের উত্তাপে ফেটে চৌচির হলো মনের জমিটুকু।
মনের জমিতে তোমার ফসল ফলাতে
সে জমিতে চাষ দিলে।
আমি কিছুই বললাম না।
মাটি কেটে নিয়ে তোমার জমি উচু করলে।
আমি কিছুই বললাম না।
উঁচু নিচু টিলা করলে।
আমি কিছুই বললাম না।
পুকুর খুঁড়লে,
আমার অশ্রু দিয়ে সেই পুকুরে জল আনলে।
আমি তখনও কিছু বললাম না।
অতপর আমাকে আমার জমিটুকু
ফেরত দিয়ে দিলে।
আমি কি এখনো কিছু বলবো না?
না।
বলবো না।
কারন সামনেই আসছে বর্ষা।
হয়তো আমার কানে
আবার মেঘের গুরু গুরু শব্দ শুনাবে আষাঢ়।
শ্রাবণ অশ্রু ঝড়িয়ে ভারী বর্ষণে
আবার ঠিক মুছে নেবো তোমার বিচরণ চিহ্নটুকু।
আবার সমতল হবে উঁচু নিচু টিলাও।
সব ধুয়ে মুছে সেই নিচু জায়গাও ভরিয়ে দেবে যেখান থেকে তুমি মাটি কেটে
তোমার জমি উচু করেছিলে।
অতপর হঠাৎ এক জোয়ার আসবে না হয় বন্যা।
পলি পড়ে ভরে যাবে সেই পুকুরে ও।
উর্বর করে দেবে আমার মনের জমি।
আবার ফুটবে শরতে শুভ্র কাশফুল।
আবার ভাসবে হেমন্তের সুঘ্রান।
আবার আসবে শীতের স্নিগ্ধ স্পর্শ।
আবার পড়বে শিশির বিন্দু ঘাসে।
রোদে তা হিরের চমক দেবে।
আবার হবে বসন্তের আয়োজন।
আবারও ফুল ফুটবে,
সুবাস ছড়িয়ে দেবে চারদিকে।
আবারও কোকিল আসবে,
আবারও সুরে সুরে মুগ্ধ করে দেবে তোমায়।
আবার এসো কিন্তু সেই বসন্তেও।
থাকবো বসে তোমার পথ চেয়ে।
তোমাকে আমন্ত্রণ।
আবারও বসন্তের আমন্ত্রণ।
আবারও প্রেমের আমন্ত্রণ।