আমি কবি হতে চাই না।
তাই প্রেমের কবিতা লিখি না।
আমি প্রেমের কবিতা লিখি না,
যেখানে আছে ভালোবাসার ছড়াছড়ি,
আবেগের মায়াজাল।
আমি লিখিনি সেই প্রেমের কবিতা,
যেখানে এক পলকের চাওয়াতে
হাল্কা হাওয়ায় চুল ওড়ে,
সূতি ওড়নাটাও রেশমি মনে হয়।
আমি লিখিনি সেই প্রেমের কবিতা
যেখানে সময়ের গতি থেমে যায়।
আমি প্রেমের সেই কবিতা লিখি না।
যেখানে কানে কানে বাতাস গান শোনায়,
বুকের মাঝে হাল্কা সুখের অনুভূতি হয়।
আমি দেবো না অসমাপ্ত প্রেমিক প্রেমিকা লাইলী - মজনু, শিরি-ফরহাদ আর চণ্ডীদাসের উদাহরণ।
কারণ আমি লিখেছি বিরহের কবিতা।
যা প্রেম নামক হাল্কা সুখের পরিণাম।
আমি লিখেছি, তোমার অবহেলায় সেই কিশোরীর দিনরাত্রি যেখানে এক হয়ে গেছে।
বুক ফাঁটছে কিন্তু চোখে পানি ঝরে না।
আমি লিখেছি সেই গৃহবধূর কথা
যার কালো চোখ রক্ত জবার মতো লাল হয়েছে।
আমি সেই মেয়েটির কথাও লিখেছি
যে সমাজের মানুষ গুলোর সামনেও যাচ্ছে না।
আমি লিখেছি সেই কর্মজীবী মেয়েটির কথা
যে সারা রাত কেঁদে সকালে হাসি মুখ নিয়ে
সবার সাথে মিশছে।
আর এক সেকেন্ডের বিরতিতে
তিন ফোঁটা জল ফেলেছে চোখ থেকে।
আমি তাকেও বাদ রাখিনি
যাকে ভালোবেসে বিয়ে করেও
স্ত্রীর নূন্যতম সম্মানটুকু দাও নি।
আমি তাকে নিয়েও লিখেছি,
যে পৃথিবী থেকে চলে গেছে অভিমান করে।
অভিমান ভাঙার সময়টুকু হয়নি তোমার ।
আমি তাকেও বাদ রাখিনি,
যাকে কষ্ট দিয়ে তুমি আনন্দ পেতে।
ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে দিলে
সে তোমায় ছেড়ে চলে যায়।
আমি তাকেও বাদ রাখিনি
যে তোমাকে ভোগের বস্তু ভেবে
অথবা ভালোবাসার পরীক্ষা করতে
তোমাকেও দূরে সরিয়ে দিয়ে
তোমার মধ্যেও জন্ম দেয় প্রেম বিরহের।