কেমন আছে ওরা এই লকডাউনে?
আছে কি ঘরে?
ঘর নেই থাকবে কোথায়?
রাস্তায় থাকে কি এখনও ওরা?
টিএসসিতে না রমনায়?
জিয়া উদ্যান নাকি কমলাপুরে?
তোর বোন কি আজও যায় তিন বেলা খেতে
খ্রিষ্টান সেই মিশনারি স্কুলে?
নাকি স্কুলটাও লক ডাউন হয়ে গেছে?
এখনও রফিক নামের ছেলেটা পানি দেয় দোকানে দোকানে?
আর রাতে ঘুমায় ভ্যানের উপর টান টান হয়ে?
নাকি ওর সৎ বাবা বস্তির ভাঙা টিনের ছাদের নিচে
আর প্লাস্টিকের বস্তা কাটা চার দেয়ালে আশ্রয় দিয়েছে?
জয় নামের ছেলেটা কি এখনো ট্রেন আসলে দৌড়ে যায় বোঝা কাঁধে নিতে?
টাকা জমায় ছোট ভাইকে স্কুলে পড়াতে?
ওহ! সবইতো লক ডাউন ।
ট্রেনতো আর আসে না।
আচ্ছা, তো ওরা কি করছে?
কোথায় আছে?
এখনও কি কমলাপুরের স্টেশনে ঘুমায়?
এখনও এয়ারপোর্ট থেকে গোসল করে
ট্রেনের ইঞ্জিনের পাশে বসে গা শুকাতে শুকাতে কমলাপুর আসে?
না না। এখন তো লকডাউন ।
ময়লা ছেঁড়া শার্টের মাঝের বোতামটা লাগিয়ে
ওরা কি এখনও দৌড়ে এসে পকেট মারে
ক্ষুধার জ্বালায় ?
নাকি তাও বন্ধ হয়ে গেছে?
তাহলে ওরা কি করছে?
কেমন আছে?
রমনাপার্কে যে মেয়েটি আমাকে রোজ একটা গোলাপ ফ্রিতে দিতো।
সেদিনও দেখা হলো ওর সাথে।
একটা গোলাপ কিনেছিলাম।
আমাকে চিনে আর একটা গোলাপ ফ্রিতে দিলো ঠিক আগের মতো।
কেমন আছে সেই মেয়েটি ?
এখনও কি গাছের নিচেই ওর আশ্রয় ?
এই রোদ বৃষ্টি আর বৈশাখী ঝড়ে,
সাথে করোনার মতো মহামারীতে?
নাকি পার্কও লক ডাউন?
কেমন আছে ওরা এই লকডাউনে?
ঘরে থাকুন , সুস্থ্য থাকুন কথাটি কি ওদের জন্যও প্রযোজ্য,
যাদের ঘর নেই?