শালীনতার বাঁধ ভেঙেছে।
হ্যাঁ, আমি চিরো অশালীন।
আমি আমি বেশ্যা, আমি পতিতা।
কারণ আমি ঘর ছাড়া মেয়ে।
আমার জন্য দুনিয়া কাঁদে না।
তোমরা হুজুর- মাওলানা- হাজ্বী, সমাজের মাথা।
মৃত্যুর আগে জান্নাতের টিকিট পেয়েছো ভাবো।
সমাজ তোমাদের উঁচু করে দেখে।
সম্মান করে।
নামাজ পরে কপালে দাঁগ বানিয়ে ফেলেছো।
আহ! কতোইবা পূণ্যবান তোমরা।
আমি বলি, তোমরা ধর্ষক!
তোমরা দালাল!
তোমরা পতিতার ক্রেতা!
তোমরা সেই ক্রেতা
যে পতিতার পাপের বিনিময়ও পরিশোধ করো নি। বলে দিয়েছো, "তুই বেশ্যা।"
হ্যাঁ, আমিই বেশ্যা।
সমাজ আমাকে বলে,
"কাজ করে খেতে পারিস না?"
আমি বলি, "হ্যাঁ পারি।"
কাজ দেবে কে আমার? কেউ নেই।
যদি কেউ কাজ দেয়
তাকেই শেষে ধর্ষক হিসেবে আবিষ্কার করতে হয়।
তার কি দোষ? আমিই যে বেশ্যা ছিলাম।
সমাজ আমার জন্য বিচার বসায়।
আমাকে সমাজ থেকে বের করে দেয়।
কিন্তু কোথায় ছিলো এরা??
যখন আমার সাজানো সংসার ভেঙেছে?
গর্ভের সন্তান জন্ম দিতে পারি নি?
তাদের ছেলেরা আমাকে বিয়ে করে খোঁজ রাখে নি আর একা বাড়ি পেয়ে
তাদের বাবারা এসে ধর্ষণ করেছিলো?
আর তখন কি তাদের লজ্জা করতো না
যখন বাড়ির গলি আর ঝোঁপের পিছনে জড়ো করে ওড়না সরাতো।
আজ আমি পতিতা, আমার দাম নেই সমাজে।
বলি ওহে দালাল,
তোমরা যে কা'বার চার পাশ ঘুরে হজ্জ্ব করো
তার সোজা উপরে আরশে আজীমে যিনি আছেন
তার কাছে আমার দাম আছে।
তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন
তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে।
তাঁর কাছেই বিচার রইলো, সমাজের কাছে না।
সমাজের ভালো মানুষের মুখোশ খুলতে চাই।
আর বলতে চাই, এই তো তারা
যারা আমাকে বেশ্যা বানিয়েছে।