এক.
কবিরা ভাববাদী, আস্তিক্যবাদী-নাস্তিক্যবাদী
ফলে কবিতা হয়ে উঠে, কখনো নারী কখনো ঈশ্বরী।
দুই.
এ পৃথিবী আস্ত বড়ো কনডেম সেল
সৃষ্টিকূলে নিত্য খেলে ভাগ্যের খেল
জন্ম হয় সঙ্গে নিয়ে মৃত্যু পরোয়ানা
আ কা কহে আমিত্ববোধ মিথ্যা ষোলো আনা!
তিন.
সখি কার সাথে ঘর বাঁধিবে বিধি হলে বাম
জান্নাত জাহান্নাম আসল জেনো,মিথ্যা ধরাধাম!
চার.
তোমার বিরহে হে বধূ আমার
এ হৃদয়ে বাড়ে অসুখ
তোমার হৃদয়ে বারেক আমি
খুঁজে পাই অগণিত সুখ!
পাঁচ.
লোকে আমায় বোকাসোকা কিংবা চতুর বলুক
জেনে রাখো হে বন্ধু, আমি প্রধানমন্ত্রীর লোক!
ছয়.
সর্বাঙ্গে হীরক ভূষণ জড়ানো মসলিন শাড়ি
যদিও তারে কবিতা বলি ভেতরে সে নারী!
সাত.
পূজার ফুলে দেবতা তুষ্ট বাগিচার ফুলে নয়
কোন ফুলে কোন দেবতা তুষ্ট তাও জানিতে হয়!
আট.
যে হৃদয়ে অতল সিন্ধু উতাল-পাতাল ঢেউ;
সে হৃদয়ে ডুবতে পারো, মরতে পারো; জানবে না তা কেউ!
নয়.
বিদ্যুতের লাইনে দেখা না গেলেও প্রবাহ থাকে,
আর মানুষের হৃদয়ে থাকে প্রেম; চিরায়ত প্রেম!
দশ.
নদীর এক পাড়ে আমার মা অন্য পাড়ে মেয়ে
যে পাড়েই থাকি আমি,থাকি অন্য পাড়ে চেয়ে।
এগারো.
নারী মানেই মা-মেয়ে, বোন অথবা অর্ধাঙ্গিনী!
যাঁর কাছে পুরুষ জাতি আজন্মকাল ঋণী!
বারো.
জীবন খাতার কোথাও খুঁজে পায় না সুখের দিন
বিধাতা আমায় দুঃখ দিলো বারোমাসি ঋণ!