আমি আর হাসবো না
পৃথিবীর উন্মত্ততায় হাস্য-পরিহাস মানায় না
আমি কোন বৃত্তের মধ্যে বন্দী হয়ে বিন্দু হব না,
বন্দিত্বের সমীকরণ অংকে মানায়,
জীবন কারাগারে মানায় না।
অদ্ভুত প্রানীর অবয়ব হয়ে করবোনা
বাঘিনীর চিৎকার।
সিংহের বৃথা গর্জন হবো না,
হরিণের শীতল চাহনি নিয়ে জীবন বাঁচানোর
তাগিদে লুকবো আমার ভেতরে আমি,
বুদ হয়ে যাবো এক অমৃত পিপাসার দোলাচলে,
যখন আমার জীবন কোন হবে ১৩৫ ডিগ্রী,
সন্নিহিত কোণের কায়া হয়ে থাকবে
অসম্পূর্ণ ডিগ্রী যখন আমার মৃত্যু কোন ৪৫।
সম্পূর্ণ কোনের সমীকরণ দাড়াবে-
জীবন স্কয়ার সমান ক্ষত স্কয়ার যোগ সুখ স্কয়ার
যার স্বাক্ষী হয়ে দাড়াবে পীথাগোরাস।
প্রতিটি বাহু হবে বিষমবাহুর প্রতিচ্ছবি
আমার হৃদয়, আমার হাসি এবং আমার বিক্ষিপ্ত চেতনার অন্তরফল।
যার কোন ফলাফল নেই।
এক অদৃশ্য পথের পথিক হবো দূরত্ব সীমাহীন।
আমাবশ্যার নিবিড়- কৃষ্ণগহ্বরে -শূন্যতা নিয়ে,
আমি কবিতা লিখবো না
শুনব কোরাস প্রকৃত সঙ্গীত '
আমি হাড়িয়ে যাবো, অদৃশ্য হয়ে যাবো -
এক অনন্ত পঙ্গু বিছানায়।
হবো বন্দী মুক্তি নামক গড়ল খাচায়,
দেয়াল ছাড়া খাতার বেষ্টনী হবে পথের ধুলিকণা ;
অপদার্থ।
ইচ্ছার ভেলায় যাত্রী হয়ে
সীমাবদ্ধ এক জীবন অতিক্রম করবো,
হবো স্বাধীন।
আমার স্বাধীনতার মঞ্চে করা হবে বিক্ষিপ্ত গুলি
শুয়ে পরবো না আমি করবো নিজেকে শহীদ
হবো জাতির হিরোয়িক সন্।
হবে সংবর্ধনা যুগ যুগ ধরে
জীবিতদের রক্ত ঢালা গাছের মৃত-ঘ্রানহীন
ফুলের মূর্ছনায়,
কারন আমি মৃত-আমৃত্যু
এই মিথ্যা বসুন্ধরায়।।