নির্জনপ্রান্তরে নিস্তব্ধ গতরাতের নির্ঘুম চোখ যখন
পাঠ করছিল সাগরিকার অভিনব অভিযোগপত্র:
"দেখো প্রিয় দেখো! দেখো বন্ধু পরম হে আত্মার খেশ!
পরিপাটি দানাময় সুবিন্যস্ত এই বালিবুক আমার ক্ষতবিক্ষত করে প্রত্যহ ওদের নির্মম কোদালিহাত,
সমুদ্রবিলাসের নামে বিনির্মিত ওদের
তথাকথিত অভিজাত শয়তানি পাঠশালায় চলে
কামুক ইবলিশের কামনার কুমন্ত্র;
কামিনী প্রেতাত্মার রাক্ষুসে দেহে
বিনগ্ন উৎসব বিনষ্ট যুগের।
সাময়িক জোয়ারে উচ্ছ্বসিত এরা ভুলে গেছে
আমার জন্মের ইতিহাস এবং কর্মের সীমানা।
এরা জানে না কে আমি?
কী আমার পরিচয়?
যদিও আমি তরলপদার্থ
তবুও ভারবাহী এক আচানক কুদরত
মাতৃত্বের স্বীকৃতিহীন
ক্লীব আমার পেটে যুগযুগধরে তার নাওসন্তান।
ক্লোনিং পদ্ধতি এ নতুন নয় বহু আগের পুরনো
আমি তার প্রত্যক্ষ পরোক্ষ রাজসাক্ষী
মহাবিজ্ঞানীর মহাবিষ্ময় আমি একবার নয়
বারম্বার এ মহাবিশ্বে বহুবার।
এরা কেবল আমার ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ দেখে
আমার চোখ বেয়ে গড়িয়েপড়া হৃদয়ের ফেউ দেখে না
এরা আমার জোয়ারে বইয়ে দেয় আনন্দের ফোয়ার
কিন্তু গভীর তলদেশে বেদনার অগ্নিকুণ্ডে
জ্বলন্ত আগুনের উড়ন্ত ধোঁয়ার
ভাসমান কষ্ট অনুভব করার সক্ষমতা রাখে না।"
তারপরও আমি তামিল করি তার হুকুম
হু-রবে পরিবেশন করি তার জয়গান
আমি এবং সে ভালোবাসার এক সফল জুটি।।
তাই বলি কী!
"সমুদ্রবিলাস নয় সমুদ্রদর্শনে আত্মস্থ করো বালিকা
আর্সেনিক মুক্ত জলের স্বচ্ছস্ফটিক পৃথিবী!
আমাকে ভালোবেসে প্রেমদাও গভীর প্রেম!
প্রেমহীন কামতাড়নে কেবল চরিতার্থ করো না কুপ্রবৃত্তি"।
/১৩/০৭/২০১৯ইং