নীলাভ অক্ষরগুলোর কালোরং
নীলাভ সেই অক্ষরগুলো কালোরং ধারণ করলে জ্বলেউঠলো বিপদসংকুল ভয়ানকপথের লালসংকেত
আবেগের খোলা জানালায়
আইনের আকষ্মিক প্রাচীরে
ভেসেউঠলো নিষেধাজ্ঞা জারির চরম প্রজ্ঞাপন।
দখিনাবাতাসের অসমবিরহে
থমকেদাঁড়ানো ভাবের জোয়ার-
কতোকাল দেখেনি অভিমানী ফাগুনের ভরপুরযৌবন
কতোযুগ পরিধান করেনি হলুদফিকে বাসন্তীপোশাক-
গায়ে মাখেনি বাসন্তিকার অভিজাত রঙিন প্রসাধনী।
ভাবনার সুনীলআকাশে কালোমেঘের ঘনঘটা!
মাথায় ভেঙে পড়লো যাতনার হিমালয়!
হরেকরকম কষ্টের সাথে-
শিরোনামহীন আরেক কষ্টের নতুন মিতালি!
হরেকরকম দুঃখের সাথে-
শিরোনামহীন আরেক দুঃখের নতুন গীতালি!
অবশেষে কোনোএক রাতদুপুর
আকাশের স্নিগ্ধ চন্দ্রিমা আচমকা হাজির
সাদাজোছনার ঝিলিকমিলিক-
প্লাবিত করে তনুমন আবার।
নীলাভ সেই বর্ণগুলো....
রয়ে গেলো-
যেই-সে আগের-
সেই-সে নীল।
কাল্পনিক বৃষ্টিধারায় প্রক্ষালিত কালো,
নিমিষেই ধবধবে সাদা-
যেনো বাস্তবিক আলো-
প্রফুল্ল চিত্তের উৎফুল্ল হাসি!
নীলঅক্ষর তার প্রণয়োন্মদনায়
নেচেনেচে গাইতে থাকে আহবানের গান
যে আহবান মনের প্রতি মনের-হৃদয়ের প্রতি হৃদয়ের
যে আহবান বুকের প্রতি বুকের-দিলের প্রতি দিলের
যে আহবান শরীরের প্রতি শরীরের-দেহের প্রতি দেহের
যে আহবান চোখের প্রতি চোখের-মনির প্রতি মনির
যে আহবান জীবনের প্রতি জীবনের
যে আহবান যৌবনের প্রতি যৌবনের
যে আহবান মৌবনের প্রতি মৌবনের
যে আহবান মধুর প্রতি ভোমরার-ভোমরার প্রতি মধুর
যে আহবান চিরশাশ্বতসুন্দরের-মনোরম লতাপাতার
যে আহবান প্রেমপ্রীতিভালোবাসার
যে আহবান বিশ্বাসী এক পৃথিবী চাষের-
যে পৃথিবী অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ স্বর্গপুরীর স্বর্গসুখের।
তারপর নীলঅক্ষর আর নীল থাকতে পারেনি
কবিতার অবুঝ পাঠক বুঝে ওঠতে পারেনি প্রেমের মর্ম
অনুধাবন করতে সক্ষম হয়নি ধর্ম ভালোবাসার
উপলব্ধি করতে পারেনি প্রেমিকচিত্তের প্রেমআহবান।
তাই সে রাগ করলো-ভাগ করলো হৃদয়
প্রযুক্তির কূটিলতায় নীলঅক্ষরের সরবরাহ বন্ধকরে
অপমান করলো কবিতার নীলঅক্ষরগুলোকে
প্রত্যাখ্যান করলো প্রেম
নির্বাসন দিলো ভালোবাসার।
নীলঅক্ষরগুলোকে মুহুর্তেই করে দিলো কালো
এবং তার সকল দরজা বন্ধ হয়ে গেলো-
কবির জন্যে
কবিতার জন্যে
গানের জন্যে
তানের জন্যে
এখন সে বিষাদময় জীবনকে দেখে
বন্ধ বার্তাকক্ষের কালো অক্ষরে
শুধুই কালো অক্ষরে
এবং কেবলই কালো অক্ষরে
কালো অক্ষরই তার প্রেম
কালো অক্ষরই আজ তার ভালোবাসা।