গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুর-
অফিসে অলস সময় কাটে।
না করিয়া কোন কাজ
কর্মচারীরা ছাড়ে অস্বস্তির
নিঃশ্বাস।
পকেটেতে টাকা নাই
কি দিয়ে যে ভালো খাই,
কদম আলী ভাবে বসি বসি।
চিন্তায় অচেতন
করিবে সে সচেতন
এমন দশাতে?
চোখে তার পলক নাই,
হৃদয়ে নাই শান্তি;
টাকার নেশাতেই যত অশান্তি।
নিরবে সে বসে আছে
মাঝে মাঝে দাঁত খোঁচে
বুদ্ধি আর খুজিয়া না পায়।
টাক মাথা হাত দিয়ে
ভালোভাবে ঘষে-মেঝে
টেবিলেতে মাথা রেখে
নীরবে সে চোখ বুজে।
নয় -ছয় ভেবে ভেবে
দিলো মহা ঘুম-
সাথে সাথে শুরু হলো
স্বপ্ন দেখার ধুম।
দেখতে লাগিলো সে
উঠিতেছে গাছের মগ ডালে
তারি সাথে আনন্দতে বলে-
"আজকে সবার উপরে আমি
কে ধরিবে আমায়?"
বলিবার সাথে বাতাসের দোলে
পড়িলো সে নামায়(নিচে)।
এতো ক্ষণে ঘুম তার জমেছিলো বেশ,
স্বপ্ন দেখি ঘুম হলো শেষ।
আবার কোন বিলম্ব না করি
ধরি অলসের বেশ
চলে গেলো পুনরায় ঘুমের দেশ।
আবার চলে গেলো
-----স্বপ্নে দেশে
ফিরেছে এবার সে যোদ্ধার বেশে।
দেখতে লাগলো সে
ঘোড়ার পিঠে হয়েছে সওয়ার।
মাঝে মাঝে ঘোড়া জোড়ে দেয় লাফ
ঝাকুনি খেয়ে বলে-"বাপরে বাপ।"
ঘোড়া ছুটে চলে বিশ্রামহীন
পথ গুলো বড়ই সঙ্গিন।
কখনো ঘোড়া চলে যায় উল্টো দৌড়ে
তখন তাহার কলিজা যেন
দেহ ছেড়ে চলে যায় উপরে।
হঠাৎ হঠাৎ ঘোড়া ডাকে উৎকট,
ভয় তার বেড়ে হয় মহা বিকট।
হঠাৎ করেই ঘোড়া দেয় এক লাফ,
ভূমিতে পড়িয়া বলে-
"আমার একি আপদ!!!"
আবার ঘুম ভাঙ্গে তার-
মনে মনে ভাবে-এখনো হয়নি আধার।
এই ভেবে আবারো সে
চলে গেলো ঘুমের দেশে,
মনেহয়- কারো সাথে
কথা বলে হেসে হেসে।
এবার দেখিলো সে-
লোক লোক ছয়-সাত,
এক ব্যাগ টাকা দিয়ে
ধরেছে তার হাত।
টাকা গুলো নিয়ে বাম হাতে,
বলিলো তাদের সামনে আগাতে।
সামনে তারা আসিতেই
কানে কানে কহিলো কি কথা,
হয়ে গেলো তাদের সমতা।
এইবার সে হাসিতে হাসিতে
ঘুম থেকে জেগে ওঠে,
উঠিতে উঠিতেই যেন
টাকা নিয়ে রুমে কারা ঢুকে।
ভাবিতে লাগিলো সে---
তাহার স্বপ্ন বুঝি হবে সত্যি,
এতে তার সন্দেহ নাই এক রত্তি।
স্বপ্নে সে দেখেছে যাহা,
ঘটিলো সেইরুপ---
আজকে সে খুশি হয়েছে খুব।
এই কথা শুনে তার
অফিসের কর্তার বেড়ে যায় রাগ,
পরিশেষে পুলিশেরে দেয় সে ডাক।
পুলিশ এসে হাতকড়ায়
বন্ধি করে হাত,
চাকরি থেকে এভাবেই হলো---
কদম আলী বরবাদ।।