জীবনের পথে হাঁটতে এসেই আমি
খুঁজে ফিরি প্রকৃৃত জীবনের মানে।
জীবন;সে ঝর্ণাধারার মত,
কিংবা প্রবাহমান নদীর মত।
কখনো জীবনের মানে আধার,
কখনো আলো;
আবার আলো-আধারের ছায়ামূর্তি,
অথবা প্রবল পাথারে সূক্ষ্ম কাগজের
তরী।
কোন ভরসা নেই -কোন স্থায়িত্ব
নেই;
এক পলকেই সব কিছু থেমে যায়,
হারিয়ে যায় নিমিষেই কালের
গর্ভে।
শুধু কারো স্মৃতি চিহ্ন থেকে যায়
মর্তলোকে কিছুকাল।
জীবন;হতে পারে আকাশের মত
বিশাল,
পুষ্পিত ফুলের মত কোমল,
নিষ্পাপ শিশুর স্বর্গীয় হাসির মত
নির্মল।
জীবন কখনো আশা,
কখনো নিরাশা-ই জীবন;
অথবা আশা-নিরাশার
মধ্যবর্তী স্থান।
জীবন মানে ভালবাসা,
হাসি,কান্না,
জীবনের মানে---
রংধনুর রঙ্গের মত রঙ্গের ছটা;
ঘড়ির কাটার মত প্রবাহমানতাও
হতে পারে জীবনেরই মানে।
জীবনের
মানেতো হতে পারে প্রকৃতির মত
সজীবতা,
জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে
টিকে থাকার সংগ্রাম ;
নতুবা মৃত্যুর মত নিথর নিরবতা।
প্রহরের পর প্রহর ধরে অপেক্ষা,
রাশি রাশি স্বপ্নের স্তুপ; বা
প্রিয় মুখের ঠোঁটের কোণে
একটু মুচকি হাসিও
হতে পারে জীবনেরই মানে!
পাতালের মত ভাবনার গভীরতা,
লটারির মত ভাগ্যের অনিশ্চয়তা;
ফুলের মত অল্পতেই ঝরে যাওয়া,
বাতাসের মত প্রকৃতির টানে ধাওয়া,
বাংলার বৃক্ষের মত সবুজের খেলা,
এও জীবনের-ই মানে হতে পারে!
জীবনের মানে সংগীতের মত
ছন্দময়তা,
তারুন্যের মত দারুণ উচ্ছলতা,
পানির মত বিভিন্ন রূপ নেয়া,
স্বচ্ছ পাতার উপর এক ফোঁটা -
বৃষ্টির পানির মত স্বচ্ছতা,
মুক্ত বায়ুর মত বর্ণহীনতা;কিংবা
কোরআনের বাণীর মত
পবিত্রতাও হতে পারে।
কিন্তু,বলতে পার কি কেহ মোরে-
কি হতে পারে প্রকৃৃত জীবনের
মানে?