স্বাধীনতা তুমি দুঃখিনী মায়ের
আঁধার ঘরের বাতি,
স্বাধীনতা তুমি বাঙ্গালীদের
নব জীবনের সাথী।
স্বাধীনতা তুমি ভোর আকাশে
সূর্যোদয়ের গান,
স্বাধীনতা তুমি একটি যেন
তাজা ফুলের ঘ্রাণ।
স্বাধীনতা তুমি হারিয়ে পাওয়া
মায়ের বুকের ধন,
স্বাধীনতা তুমি সবার কাছে
নিবিড় আপনজন।
স্বাধীনতা তুমি গ্রীষ্মে যেন
বিষ্টি পড়ার সুর,
স্বাধীনতা তুমি সবার মনের
ক্লান্তি কর দূর।
স্বাধীনতা তুমি ঝাঁ ঝাঁ রোদে
একটি ছায়া নীড়,
স্বাধীনতা তুমি স্মৃতি হয়ে
জাগাও মনে ভীড়।
স্বাধীনতা তুমি কিষাণ বধুর
নকসী আঁকা কাঁথা,
স্বাধীনতা তুমি নিশীথ রাতে
তারার মালা গাঁথা।
স্বাধীনতা তুমি গৃহ হীনের
দুখ ভোলানো গান,
স্বাধীনতা তুমি পিউ-পাপিয়ার
মধুর কলোতান।
স্বাধীনতা তুমি যাদুকরের
যেন যাদুর বাঁশি,
স্বাধীনতা তুমি সবার মুখে
ফোটাও সুখের হাসি।
স্বাধীনতা তুমি আমার মায়ের
গভীর ভালবাসা,
স্বাধীনতা তুমি চোখের মনি
সবার সুখের আশা।
স্বাধীনতা তুমি ঘুমিয়ে পড়া
একটি নিঝুম রাত,
স্বাধীনতা তুমি প্রতিটি মানুষের
যেন পেটের ভাত।
স্বাধীনতা তুমি রোগ মুক্তির
মহাপোকারী ঔষধ,
স্বাধীনতা তুমি তৃষ্ণা মিটানোর
স্বচ্ছ জলের নদ।
স্বাধীনতা তুমি শীতার্ত জনতার
যেন শীতের কম্বল,
স্বাধীনতা তুমি বাংলার ঘরে ঘরে
চির শান্তির সম্বল।
স্বাধীনতা তুমি আশার প্রদীপ
আমার ছোট্ট ঘরে,
স্বাধীনতা তুমি অমর হয়ে
থেকো যুগ যুগ ধরে।
দৈনিক দাবানল,রংপুর থেকে ২৯-৩-১৯৯০ এ প্রকাশিত