মিষ্টি মেয়ে শায়লা আমার
চোখে চোখেই রাখি,
আদর–সোহাগ করে তাকে
‘মা-মণি’ তাই ডাকি।
সে ‘আব্বু’ বলে ডাকে আমায়
কি যাদু তার চোখের মায়ায়
যায় না ভোলা মুখের হাসি
যায় না ভোলা তারে,
পাগল করে তার দুটি চোখ
আমায় বারে বারে।
অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে
কেবল সারা বেলা,
ঝুমঝুমি আর পুতুল নিয়ে
একলা করে খেলা।
তার দুটি ঐ রাঙা ঠোঁটে
হাসলে যেন গোলাপ ফোটে
ইনিয়ে–বিনিয়ে কখনো কাঁদে
কখনো আবার হাসে,
একটু চোখের আড়াল হলেই
স্মৃতি যে তার ভাসে।
জানিনে সে কেমন করে
মন করেছে জয়,
তাইতো মনের রাজ্য জুড়ে
সে আছে নিশ্চয়।
‘আব্বু’ বলে ডাকলে রে ভাই
দুঃখ–অভাব সব ভুলে যাই
এর চেয়ে আর অধিক কি চাই
সংসারে বড় সুখ ?
তাই যেন এক খুশীর ঢেউয়ে
নাচে আমার বুক।
সেই খুশীর কি গন্ধ–সুধা!
যায় না বোঝা কারো,
কোলে নিয়ে লক্ষ্মী মেয়েকে
আদর করি আরো।
চড়ে খুকী আমার কোলে
মন ভরে দেয় মিষ্টি বোলে
আধো আধো কথা বলে
মিষ্টি মধুর হাসে,
মুক্তা–মানিক হয়ে সে যে
চোখের তারায় ভাসে।
যখন তখন দৌঁড়ে এসে
জড়িয়ে ধরে গলা,
দারুণ সুখে উছলে ওঠে
আমার বুকের তলা।
শায়লা আমার চোখের মণি
নাইবা হলো সোনার খনি,
তবুও সে আমার কাছে
সোনার চেয়েও দামী,
তারে নিয়ে অনাবিল এক
সুখেই আছি আমি।