আচ্ছা, মানুষ কেন
এমন বলুন তো,
সব কি বন্দি করা যায়
সবখানেই কি
পরাধীনতার শিকল পরানো যায়,
যায়না, অথচ মানুষ সেটা
বুঝতে চায়না,
নিজের স্বার্থে
মানুষ সবখানেই দাস খুঁজে
দাসত্বের থিওরিকে
প্রতিষ্ঠিত করে
কেন করে,
করে নিজের প্রভুত্ব ফলাতে
দিনে কিংবা অন্ধ
আলোর নিস্তব্ধ রাতে,
যেমন মানুষ উৎসবে ডুবে
চিৎকার করে বলে
বিদায় পুরাতন বছর
স্বাগতম হে চির নবীন, চির চঞ্চল
নতুন বছর
আচ্ছা একটু ভেবে বলুন তো
ঘড়ির কাটায় বন্দি করলেই
কি সময়কে আটকানো যায়
একটু লজিক বলি,
মানুষ, না পেট কে খায়,
মানুষ হলেই কি মানুষ হওয়া যায়,
যায়না,
মানুষ থেমে যায়
সময় সময়ের স্রোতে ভাসতে ভাসতে
কখন, কোথায়, কিভাবে বয়ে যায়
সেটা কি লেখা যায়
দামি কলম দিয়ে কিংবা
দিস্তা দিস্তা কাগজের খাতায়
আসলে, নতুন বছর বলে কিছু নেই
সব মানুষের বানানো
সময়ের দিন-তারিখ বলে কিছু নেই
সবটাই
মানুষের উদ্ভুত ভাবনা,
খুব পরিকল্পিত
নিজের ইচ্ছার মতো,
আচ্ছা একটা রংচং ক্যালেন্ডার
তার উপর লেখা মাস, তারিখ
আচ্ছা
এগুলোর কি কোনো মানে আছে,
সবটাই যে মানুষের বানানো
নিজের স্বার্থে
নিজের তাড়নায়,
আমি বলি
আমি মানুষ
শরীরে না মনে
জানা নেই,
আমার কোনো সময় নেই,
কিছুই নেই,
যা আছে তা
কেবল
মৃত্যুর জন্য প্রতীক্ষা
না, সময়টা এখানে গৌণ
প্রতীক্ষা কতটা
সেটাও অজানা
যেমন যে সময়ে আমি আছি
সেটাও আমার কাছে
অচেনা
পলাতক আসামির মতো |
আমি সবার মতো বলতে পারছিনা
স্বাগতম নতুন বছর
উৎসবে মেতে উঠতেই পারছিনা
কেন পারছিনা
তাও জানিনা,
আমি বলছি
আমি চলছি সময়ের সাথে
থেমে যাবো হঠাৎ
সময় তখনও চলবে
মানুষের দম ফুরিয়ে যায়
সময় মরেনা
মানুষ মরে যায় কোনো এক অচেনা
সময়ে,
কিছুটা ক্ষয়ে ক্ষয়ে
কিংবা সমগ্র মহাপ্রলয়ে |
হয়তো আমিই ভুল
ভুল সময়ে যে জন্ম আমার
আমার কোনো জন্মদিন নেই |