আমার চোখের আলোয় বিস্ফোরিত হয়
সভ্যতার নিবু নিবু আলো
স্তম্ভিত হয় সময়ের দেহঘড়ি,
তারপর ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নেয়
ধুলিকণা, খরস্রোতা নদী সুমুদ্রের জলীয় বাস্প
নীল আকাশে নোঙ্গর টানে
বংশীবাদকের জাদুর নান্দনিক গানে
কোথায় এসে যেন থামে, রক্ত আর রোদ্দুরটা
এক টুকরো শোষিত মানুষের লবনাক্ত ঘামে
বিবেককে দাঁড় করায় বিচারের কাঠ গড়ায়
চড়া দামে, নরপিশাচদের ধরাধামে |
তবুও খোলা এক চোখে ভূমিকম্পের মতো জলের ধারা
আরেক চোখে দুরন্ত সময়কে করে চলে তাড়া
সংকোচিত হয় বিদ্রোহের বেতার বার্তায়,
তারপর আবার প্রসারণে জেগে উঠে মানুষ
লড়াই করে, যদি ধরে রাখা যায় সময়কে
কোনো অবরুদ্ধ সভ্যতার সুপ্ত জীবন থেকে
বিগ ব্যাংকার ব্ল্যাক হোলের থিওরির মতো
অবিরত;
অভিযাত্রীর অপূর্ব দৃষ্টির পরশ পাথরে
ইতিহাসের দায় থেকে মুছে ফেলার প্রানপন
যুদ্ধ করে মানুষ, যদি উপড়ে ফেলা যায়
বিশ্বাসঘাতকদের মরণঘাতী ক্ষত প্রতিবাদের হয়
প্রতিহত |
অভিশপ্ত বিবেককে হৃদপিন্ড থেকে বের করে এনে
যদি বলে ওখানে বাহিরটা আর ভিতরটা এক নয়
কেবল মায়াবী ছল করে চলে বজ্জাতের দল;
ওদের বলতে হবে, খবরদার
অনেক বেড়েছিস বেড়েই চলেছিস, খামোশ শয়তান,
আর বাড়িস না বাড়,
নইলে এবার হবে অনাসৃষ্টির অন্ধকার
কিংবা মহাপ্রলয়ের শঙ্খনীল কারাগার
ফিরে আসবে সভ্যতায়,
প্রতিবার বাঁধ ভাঙা নারীর
আর্তনাদের আকাংখায়
সে শরীরটা শবদেহ করে
সতীত্ব খেতে চায় শুকুনির দল
লালসার আঙিনায়,
তার প্রতিঘাত এখন দরকার
সময় এসেছে সভ্যতার রুখে দাঁড়াবার
জাগ্রত নারীর রূপ হবে বিক্ষুব্ধ জনতার
আর অধিকার হবে স্বাধিকার
একবার নয় বার বার |