আজকের দিনে বিজ্ঞান চর্চার বিষয়টি খুব বেশি আলোচিত হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হল বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে মানুষ অবাস্তব ধারণা থেকে বিজ্ঞানসম্মত বাস্তব ধারণায় উপনীত হয়। যেটি আবেগ ও কল্পনার চেয়ে প্রমাণ এবং যৌক্তিকতাকে প্রাধান্য দেয়। ফলে মানুষ বাস্তববাদী ও আশাবাদী হয়ে বিজ্ঞানের জ্ঞানকে রাষ্ট্র গঠনে কাজে লাগাতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানের চর্চা কীভাবে হলে মানুষ তার প্রতি আকৃষ্ট হবে, সেটি নিয়ে ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভাষার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আর ভাষা হিসেবে মাতৃভাষা বেশি কার্যকর এবং তা সহজে মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। ১৯৫৩ সাল থেকে ইউনেস্কো এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা স্তর থেকে মাতৃভাষা প্রয়োগের কথা বলে আসছে। বিষয়টির সুবিধা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে কোসনেন পর্যবেক্ষণ করেন, মাতৃভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলে এতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা যেমন বাড়ে, তেমনি শিক্ষার্থীদের সফল হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। বেনসন তার গবেষণালব্ধ ফলাফল বিচার-বিশ্লেষণ করে জানান, এর ফলে মা-বাবার সঙ্গে শিক্ষকদের শিক্ষা বিষয়ে খোলামেলা আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়। আর আলোচনার মাধ্যমে যে শিক্ষার উপাদানগুলো উঠে আসে, মা-বাবা তা সন্তানদের কাছে পৌঁছে দেন ও তাদের ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তোলার প্রয়াস নেন।
‘বাংলাভাষা-পরিচয়’ গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ ভাষার কাঠামোকে কোঠাবাড়ির সঙ্গে তুলনা করেছেন। বিষয়টি এ রকম : “কোঠাবাড়ির প্রধান মসলা ইঁট, তার পরে চুন-সুর্কির নানা বাঁধন। ধ্বনি দিয়ে আঁটবাঁধা শব্দই ভাষার ইঁট, বাংলায় তাকে বলি ‘কথা’। নানারকম শব্দচিহ্নের গ্রন্থি দিয়ে এই কথাগুলোকে গেঁথে গেঁথে হয় ভাষা।” সময়ের পরিবর্তনে ও মানুষের জীবনাচরণের নিত্যনতুন বৈচিত্র্যে ভাষার বিভিন্ন উপাদানের পরিবর্তন অব্যাহত থাকে। কিন্তু মূল কাঠামোটা আবহমান ধারাকে অনুসরণ করে চলে। ভাষাবিজ্ঞানীরা এই কাঠামোর বিশ্লেষণ করে ভাষার প্রকৃতি, পরিবর্তন ও শেকড়ের সঙ্গে তুলনামূলক বিচার-বিশ্লেষণ করেন। বাংলা ভাষা এমনই একটি সমৃদ্ধ ভাষা, যেটির নিজস্ব স্বকীয়তা যেমন রয়েছে, তেমনি এর শব্দ বৈচিত্র্য এই ভাষাকে বিশ্বজনীন রূপ দিয়েছে। তবে যেভাবে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না। এখনও এ ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার আগ্রাসন আমাদের মানসিকতায় কাজ করছে, যেটি গ্রহণযোগ্য নয়। এ কথার মাধ্যমে ইংরেজি ভাষাকে অশ্রদ্ধা করা হচ্ছে না; কিন্তু যখন এটিকে কেউ চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে, তখন একটি বিদেশি ভাষার দ্বারা আমাদের মাতৃভাষা বাংলা শোষিত হয়। আবার অন্যভাবে বলা যায়, যে ভালো বাংলা বলতে ও লিখতে পারে না, তার অন্য ভাষায় দক্ষতা যেভাবে গড়ে উঠার কথা, সেভাবে গড়ে উঠে না। বাংলা ভাষার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘বাংলা ভাষাকে তাহার সকল প্রকার মূর্তিতেই আমি হৃদয়ের সহিত শ্রদ্ধা করি, এ জন্য তাহার সহিত তন্ন তন্ন করিয়া পরিচয়সাধনে আমি ক্লান্তিবোধ করি না।’
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা করা সম্ভব কিনা, আর এর ফলাফল ইতিবাচক হবে কিনা। বাংলা ভাষার প্রতি আবেগের জায়গা থেকে শুধু নয়, যৌক্তিকতার দিক থেকেও বিষয়টি অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য। বিষয়টা অদ্ভুত মনে হতে পারে; কিন্তু গবেষণা ও তথ্য-উপাত্ত বলছে যে, মাতৃভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞান চর্চার সঙ্গে একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পায়। এর কারণ হল- মাতৃভাষার মাধ্যমে যখন কোনো একটি দেশ বিজ্ঞান চর্চা করে, তখন সে দেশের মানুষের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটে। এই উদ্ভাবনী শক্তি প্রয়োগ করে সে দেশ প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা অর্জনে সমর্থ হয়। ফলে প্রযুক্তির হাত ধরে বিভিন্ন ধরনের শিল্প-কারখানা গড়ে উঠে, যা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। ভারতীয় ভাষাতত্ত্ববিদ পট্টানায়েক বিষয়টিকে একইভাবে তুলে ধরে বলেন, মাতৃভাষার ব্যবহার উন্নয়ন সূচকের মাঝে গণ্য করা উচিত। ভারতের মতো বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির দেশের কোনো একটি ভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রাধান্য দেয়া যায়নি বলে দেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিজ্ঞান চর্চায় ইংরেজি ভাষার প্রভাব রয়ে গেছে। কিন্তু চীনের ক্ষেত্রে শুধু চীনা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা করার ফলে চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ভারতের চেয়ে বেশি। আমাদের দেশের সব মানুষের কথা বলা ও লেখার মাধ্যম হল বাংলা। ফলে আমরাও চীনের মতো মাতৃভাষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাষ্ট্রের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে পারি।
আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতি যত অগ্রসর হবে, ভাষার পরিবর্তনশীলতা তত বেশি গতিশীল হবে। এর ফলে ভাষার শব্দের ভাণ্ডার যেমন বাড়বে, তেমনি ভাষার গুণগত মান সমৃদ্ধ হবে। বিষয়টি নিয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। বাংলা ভাষার শত্রু-মিত্র গ্রন্থে হুমায়ূন আজাদ ইতিহাসের সত্যকে তুলে ধরে মাতৃভাষায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চার মাধ্যমেই যে অন্য একটি বিদেশি ভাষার প্রভাবকে খর্ব করা যায়, তার বিশ্লেষণ করেছেন। হাঙ্গেরিতে উনিশ ও বিশ শতকে প্রতিরোধ করা হয়েছিল জার্মান ভাষাকে, হাঙ্গেরীয় জনগণের দেশাত্মবোধ ও আপন ভাষা সচেতনতা দিয়ে জার্মান ভাষাকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা যায়নি। তখনই জার্মান ভাষাকে হটানো সম্ভব হয়, যখন হাঙ্গেরীয় প্রযুক্তিবিদ ও ব্যবস্থাপকরা একান্তভাবেই হাঙ্গেরীয়ভাষী হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশে প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা শিক্ষার ভাষা ইংরেজি, তাই প্রযুক্তিবিদ-ব্যবস্থাপকরা কার্যক্ষেত্রেও ইংরেজি প্রয়োগ করেন। দেশপ্রেম জাতীয়তাবাদ, রাজনৈতিক চাপ তাদের অনেক সময় বাংলা প্রয়োগে বাধ্য করে; কিন্তু ইংরেজি ভাষা ব্যবহারেই তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষিত হয় বলে ইংরেজি ব্যবহারেই তারা বেশি উৎসাহবোধ করেন।
পদার্থবিজ্ঞানী প্রফেসর হারুনর রশীদ তার ‘বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান’ (১৯৮৪ পৃ-৬৭) গ্রন্থে লিখেছেন : “গত তিনশ’ বৎসরে ইউরোপে বিজ্ঞান প্রগতির কারণ বোধ হয় দু’টি। একটি হল কৃষির উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা পরিত্যাগ করা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ইউরোপ তার প্রথম শিল্পবিপ্লবের মাধ্যমে আর্থ-সমাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন করেছে। দ্বিতীয় কারণটি হল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চায় মাতৃভাষার ব্যবহার, পৃথিবীর কোনো উন্নতিকামী, আত্মসচেতন জাতি বিদেশি ভাষায় জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার কথা চিন্তাও করতে পারে না। রাশিয়া, জার্মানি, তুরস্ক, ফ্রান্স, জাপান, চীনের মতো উন্নত রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব করেছে মাতৃভাষায় প্রযুক্তি চর্চার মাধ্যমে।
মাতৃভাষা ব্যবহারে ভারত চীনের তুলনায় পিছিয়ে আছে। মনে হয়, সামগ্রিক মানব উন্নয়ন সূচকে চীনের তুলনায় ভারতের পিছিয়ে থাকার পেছনে এটি একটি বড় কারণ। এ রকম অবস্থা বাংলাদেশে নেই। আমাদের সংবিধানের প্রথম ভাগের ৪ নম্বর অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা।’ এটির অর্থ হল এই সংবিধান যেদিন রচিত হয়, সেদিন থেকেই আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। সর্বস্তরে বাংলাভাষা প্রচলনের কথা বলা হলেও তা কাগজে-কলমে আইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এ জন্য বাংলাভাষাকে কীভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চাসহ সর্বক্ষেত্রে প্রচলন করা যায় তার জন্য যেমন গবেষণা দরকার, তেমনি জাতীয় ভাষা নীতি ও পরিকল্পনা ঘোষণা করা দরকার। যে পরিকল্পনার মধ্যে থাকবে কীভাবে মাতৃভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞানকে সহজবোধ্য ও আনন্দদায়ক করে এটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করা যায়। এ প্রসঙ্গে বলা যায়, অনেকেই বাংলাভাষায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংক্রান্ত বই বের করলেও সেখানে ইংরেজির পরোক্ষ প্রভাবের কারণে বাংলা কঠিন ও দুর্বোধ্য হয়ে উঠে। ফলে মানুষ নিরুৎসাহিত হয় ও বাংলাভাষায় বিজ্ঞান চর্চাকে জীবনসম্পৃক্ত সংস্কৃতির অংশ হিসেবে গ্রহণ করতে সক্ষম হয় না। যেমন অধিকাংশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত বইয়ে নিউটনের তৃতীয় সূত্রকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে বা লেখা হয়েছে- প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে। এটাকে সহজ করে বাংলায় বলা উচিত যখন কোনো একটি বস্তুর উপর আঘাত করা হয়, সেই পরিমাণ আঘাত বস্তুটি থেকেও পাওয়া যায়। আবার প্রতিবিম্বের সংজ্ঞায় বলা হয় যখন কোনো বিন্দু হতে নির্গত আলোক রশ্মিগুচ্ছ কোনো তলে প্রতিফলন হওয়ার পর দ্বিতীয় কোনো বিন্দুতে মিলিত হয়, তখন ঐ দ্বিতীয় বিন্দুকে প্রথম বিন্দুর প্রতিবিম্ব বলে। কিন্তু বিষয়টাকে এত জটিল না করে বাংলায় এভাবে বলা যেতে পারে যখন আলোকে এমন কোনো একটি মাধ্যমে ফেলা হয় যার ফলে সেই মাধ্যম থেকে আলোটি বের হয়ে আসে তাকে প্রতিবিম্ব বলে।” এ জন্য বাংলাভাষার বইগুলোকে সহজ-সরলভাবে দৃষ্টান্ত সহকারে তুলে ধরা দরকার।
এ ছাড়া চীন, জাপান, রাশিয়া, জার্মানি এই দেশগুলো তাদের ভাষায় বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল প্রকাশ করে। কিন্তু বাংলাভাষায় বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল প্রকাশের উদ্যোগ এখনও তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। যদি বাংলাভাষায় বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্বমানের জার্নাল প্রকাশ করা হয় তবে এতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা গবেষণাপত্র জমা দিতে পারবেন। বাংলা ভাষাতে একজন শিক্ষার্থীর গবেষণাপত্র লেখা যত সহজ ও প্রকৃত বিষয়কে তুলে ধরা সম্ভব হবে তা ইংরেজি বা অন্য ভাষায় সম্ভব নয়। এখন প্রশ্ন হতে পারে, এই গবেষণাকে কীভাবে বিশ্বজনীন করা যাবে। এ জন্য যারা এই জার্নাল প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন, গবেষণার প্রকৃতি অনুযায়ী বাংলায় লেখা গবেষণাপত্রগুলোকে প্রথিতযশা বাঙালি বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে ইংরেজি বা অন্য ভাষায় অনুবাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিজ্ঞানী প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বাংলাভাষায় বিজ্ঞান চর্চাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য তার ছাত্রদের কাছে রাশিয়ান বিজ্ঞানী মেন্দেলেভের কথা বলতেন, যিনি পিরিওডিক টেবিলের আবিষ্কারক। বিজ্ঞানী মেন্দেলেভ তার কাজ রাশিয়ান জার্নালে প্রকাশ করতেন, কারণ তিনি চাইতেন পৃথিবীর অন্য ভাষাভাষী বিজ্ঞানীরা যেন রুশ ভাষা শিখতে বাধ্য হন। বাংলাভাষার প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি ভাবা যেতে পারে।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, উন্নত রাষ্ট্রগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের যে গবেষকরা রয়েছেন তাদের মতামত হল, ইংরেজিতে গবেষণাপত্র লিখলেও বা গবেষণা করলেও তাদের কল্পনাশক্তি ব্যবহার করে তারা গবেষণার বিষয়টিকে বাংলাভাষার মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করেন আর এতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কাজেই সেখানে ইংরেজি ভাষার প্রয়োগ থাকলেও মাতৃভাষার মাধ্যমে গবেষণা বা সৃষ্টির কল্পনা একজন মানুষকে বেশি প্রভাবিত করে। বিষয়টি নিয়ে একটি ভালো গবেষণা হতে পারে। প্রথমদিকে বাংলাভাষায় রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, জগনানন্দ রায়, জগদীশ চন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়সহ অনেকেই বিজ্ঞান চর্চা করেছেন। আমাদের দেশে এ সম্বদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করেছেন কুদরত-ই খুদা, কাজী মোতাহার হোসেন, আবদুল্লাহ্ আল-মুতী শরফুদ্দীন এবং আরও অনেকে। আর রবীন্দ্রনাথ বুঝিয়েছিলেন বিদেশি জাহাজে যে জ্ঞান আমাদের দেশে এসে পৌঁছেছে, দেশি নৌকা ও ডিঙি মারফত সে সব বাংলার গ্রামে পৌঁছে দিতে। এখন দরকার বাংলাভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্র তৈরি করে তা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রচলন করা। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বিত সহযোগিতায় এটি বাস্তব রূপ পেতে পারে।