ধনী আত্মীয়ের প্রাসাদে ঝলমলে সোনা,
মধ্যবিত্তের ঘরে মাটি, ভাঙা দালান।
তবে চোখে সেই অবহেলা, তাচ্ছিল্য,
হৃদয় মাঝে গাঁথা কাঁটা, এক অবমাননা।
তোমরা তো কিছুই বুঝো না,
কষ্টে কাটানো জীবন তো তুচ্ছ কিছু,
সামান্য কুড়ানোর চেষ্টাই বৃথা,
ধনী হেসে বলে, আঙুলে সোনা ঝলকিয়ে।
মধ্যবিত্তের মুখে হাসি, কিন্তু মনে ক্ষত,
চাইলে কিছু পাবে না, তার দাম কোথায়?
ধনীর চোখে তার অবস্থা যেন কিছুই নয়,
কেবল অর্থ আর প্রভাব, আর কিছুই নেই।
তোমরা কি পারবে কখনো স্বপ্ন ছুঁতে?
ধনী বলবে, আর মধ্যবিত্তের হাত খালি থাকে।
নিজের যন্ত্রণার কথা কেউ শোনে না,
শুধু অপমানের বাণী বিদ্ধ করে যায়।
একি অহংকার? নাকি শক্তির মায়া?
গরিবের কষ্ট বুঝে না তারা কখনো,
তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও দাম না দেওয়ার শত্রুতা
স্বার্থের মঞ্চে খেলছে তারা সবসময়।
তবে একদিন, ঘুরে যাবে সময়,
মধ্যবিত্তরা তাদের কঠোর পরিশ্রমে উঠবে,
ধনীর অহংকার আর তাচ্ছিল্য খসে পড়বে,
অবশেষে আসবে সেই সময়, মর্যাদার আলো।
অপমানের দিন চলে যাবে,
মধ্যবিত্তরা তাদের অবস্থান দেখাবে,
সফলতার শিখরে পৌঁছে বলবে,
কষ্ট ছিল, কিন্তু কখনো আত্মসম্মান হারায়নি।