নেই পাখিদের কলতান,আছে বাতাসে ধোঁয়ার গন্ধ,
ভয়ে চূপসে গেছে, পাখিদের ওড়া-উড়ি তাই বন্ধ ।
বর্ষবরণের আতশবাজি আর উচ্চ শব্দের ঢেউ,
পাখিদের করেছে আতংকিত আর খুশিতে মোরা কেউ ।
ভয়ে ভয়ে মা পাখি , এদিক সেদিক করে উঁকি - ঝুঁকি
গতরাতের শব্দের ঝড়ে এখনো থামেনি পাখিদের বুকের কাঁপুনি ।
ছোট মাথা বের করি ,মা পাখি দেখে চারপাশ
সবই ত ঠিক আছে তবু ভয় করেছে তাদের গ্রাস ।
বাচ্চারা সব খায়নি কিছুই ,সকাল গড়ে দুপুর এলো
জীবনের মায়া ত্যাগ করে ,খাবারের সন্ধানে উড়াল দিলো ।
বেলা শেষে মা পাখিটি ,যখন ফিরে নীড়ে ,
পা চলেনা , আশপাস রয়েছে নিরবতার চাদরে ঘিরে ।
ক্ষুধার জ্বালায় পাখির ছানারা ,নেই আর একটাও
মা পাখিটা চিতকার করে চলছে,শুনতে যদি কেহ ।
চোখের পানি আটকানো যায় না ,দেখে পাখিটার আকুতি
মানুষ মোরা ,হুঁশ ছাড়া হলে হয় পশুর চেয়ে নিচু মতিগতি ।
ছাদের পাশের নারিকেল গাছ্টায়,শোনা যায়না কলতান আর-
মা পাখিটার উড়াল দেওয়া ,মোদের বর্ষবরণের উপহার ।