ক্যালেন্ডারের পাতায়,
সিক্ত নয়নে চেয়ে থাকি সদাই।
দেখি তথায়-
আমার হৃদয়ের গিরি কান্না,
তোরি পাতায় বাজে খঞ্জনের ঝান্না।
তখন শীতকাল।
নিশিরাতে কুহকিনী যে ডাকে,
নি:স্তব্ধ রাত পেরি ঝাউয়ের বাঁকে
সূয্যি মামা রাঙ্গিয়ে দেয় সকাল।
শুনি, দরজায় কে যেন দাঁড়িয়ে,
আসিলাম শোবার ঘরে বন্ধুকে নিয়ে।
বন্ধুকে ডাকি ইশারায়-
অশ্রু ভরা নেত্রে ক্যালেন্ডারের পাতায়,
‘ঐ যে দেখ সংখ্যাটি আছে বৃত্তে।’ (২৯.১২.২০০৩)
ভোরে,
পাখি ডাকার আগেই
মা জননী যে ডাকে।
‘বাপ গো, আমার কাছে একটু বস,
যাও, তোমার নানীজানকে নিয়ে আস।’
তিরিশ মাইল পথ পায়ে হেঁটে
নানীজানের বাড়ি এলাম অবশেষে।
কে জানিত, মা জননী আমার,
ঐ ক’টা কথাই
দিয়েছিল উপহার!
‘তিনি এলেন না?’
‘নাহ্,’
বাড়ির উঠোনে লোকেদের ভিরে
বোনটি আমার কেঁদে উঠে ডুকরে!
চেয়ে দেখ,
ঐ যে ক্যালেন্ডারের আঁক,
চোখের জল রুদ্ধ করছে আমার বাক।
ক্যালেন্ডারটি বুকে লয়ে
বড়ই যতন করে,
আটটি বছর কেটে গেল এমনি করে।