হেঁটে,
ক্লান্তিকর পথ প্রান্তর পেরিয়ে
বৃদ্ধ বটের ছায়ায় একটু বিশ্রাম নেব বলে-
তৃষ্ণার্ত কাকের ভঙ্গিমায়
বেলা শেষে বসি তারই তটে।
চেয়ে চেয়ে,
হঠাৎ দেখি ঐ দূরে বনের ধারে
ঝাউয়ের পরে ডাহুকের গান-
পবনের ঢেউয়ে কানে বাজে করুণ সুরে
আকাশ-বাতাস ছেয়ে।
ধীরে ধীরে,
কাছে গিয়ে দেখি
ঘাসেতে শুয়ে বিষম ব্যথায়-
কুশ্রীদ্বয় ঠুকে ঠুকে করি ঘায়েল সুশ্রী পাখায়
তারই আপন নীড়ে!
ভেবে ভেবে,
আমি কবি, ডাক্তার-কবিরাজ ডেকে
করি যতন,
ঈশ্বরের হস্তে গড়া সে
প্রকৃতির এক বিরল রতন-
অযত্নেই মরিবে!
থেকে থেকে,
মুক্ত ডাহুক আসত আমার বাড়ি
গান শুনাতো মধুর সুরে,
একদিন ডাহুক সঙ্গী পেয়ে
চলে যায় ঐ দূরে
দু:খ দিয়ে বুকে।