নিঃস্তব্ধ গহীন রাত।
একেলা আমি কষ্টে যণ্ত্রনায় বসে আছি নিঃস্তব্ধই।
সময়ের পরিক্রমায় হয়ত শেষ হবে এ নিশীত রজনী।
হয়ত আসবে নতুন ভোর। হয়ত নতুন সূর্য ঝলমল করে উদিত হবে আবারো।।
কিন্তু আমার জীবনের নতুন ভোর আর সূর্য বুঝি কোনদিনই চোখ মেলে তাকাবে না।
একটু ব্যথা, জ্বর, বকুনী বা একটু মন খারাপ।
মনে হয় সীমাহীন বেদনা। অভিমানে আত্মাহূতি দেবার মতই। যেমনটি অনেকে দেয়।
নতুন সূর্য দেখার প্রহর শেষ হবার আগেই।
কোন না পাওয়ার অভাবই নেই, চাহিদা তো কুরে কুরেই মরবে।
দুঃখ-বেদনা ছাড়া সুখ তো আর সুখ নয়।
জীবনের পার্থিব সব পাওয়া হলো সুখ কে তো পাওয়া হলো না।
তাই বুঝি পাওয়া টা হয়ে গেলে না পাওয়ার পথ খোঁজার আকুতিই
কাউকে ঠেলে দেয় পৃথ্বী থেকে অনেক দূরে। হয়ত নতুন কিছু পাবার আশায়।

কিন্তু! যারা আশায় বুক বাঁধে, আশার আলোতে ভর করে বেঁচে থাকে;
তাদের দুঃখভরা রজনীর শেষ হয়,
নতুন কিছু পাবার আশায় নতুন ভোর আসে।
কষ্ট আর সহিষ্ণুতার মাঝে বাঁচাটাই প্রকৃত বাঁচা হয়।
শত প্রতিকূলতার মাঝে নিজের পরম স্রষ্টার সান্নিধ্য পেতেই
নতুন পথে পাড়ি জমানো। আরো ভাল কিছু পাবার আশা।
প্রতিদানের আশা। উজ্জ্বীবিত করে।
জগতে এত অসংগতি।
এ কেমন প্রকৃতি। স্বার্থপর। কাউকে সব দেবে, আর কাউকে কিছুই না।
এ কেমন প্রকৃতি। কাউকে বিনা অপরাধে ধুকে ধুকে মরতে দেবে, আর কেউ সেই লাশের উপর দাঁড়িয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়বে।
না এমন তো হতে পারে না। এই প্রকৃতির যে নিয়ণ্ত্রক তিনি এর বিচার কী করবেন না?
সেদিনের অপেক্ষায়  র'লাম। সেই বিচারের দিনের অপেক্ষায়।

২৪/০৩/২০১৮, রাত ৩টা পঁয়ত্রিশ।
নাইট ডিউটি। অফিস।