মৃত্যুর জন্য সুইসাইডের দরকার নেই,
গিন্নির দেয়া বাজার ব্যাগের ভেতরে
পরাণডা নড়েচড়ে,
বাজারের আগুনে ফুটুস হতে পারে যখন তখন।
যার বাজারে যাওয়া লাগে না,
তার হার্ট ভালো থাকে,
মুখে হাসি থাকে।
নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে
ধমনির রক্ত সঞ্চালন বাড়তে থাকে
বাড়তে বাড়তে হয় হাই প্রেশার।
মরণ কত সহজ,
তাই না?
যারা সুইসাইডের চিন্তা করো
তোমরা বাজার ব্যাগ হাতে করে
ঘুরে এসো,
পরিবারের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সাথে
প্রেম করো,
প্রেমিকাকে দেখতে থাকবে; ছুঁতে পারবে না,
এমন বিরহ নিয়ে,
প্রেমিক কত দিন বাঁচে?
ছেলের নিত্য খেলনা কেনার বাহানা
আর বাবার মিথ্যে অজুহাত,
হৃদপিণ্ডে ফাটল ধরে,
পরাণ খাঁচা ছেড়ে বুকপকেটে চলে আসে।
কত যে তাল বাহানা করে,
কাটাতে হয় মাসের পর মাস,
সে কথা ক'জন বা খোঁজ রাখে!
মৃত্যুর জন্য এতো চিন্তা লাগবে না,
বাজারে ঢুকলেই হবে,
দামের চূড়ায় মৃত্যু দূত
নিত্য হাসছে,
যে ছুঁয়ে দেখেছে
সেই মরেছে...!
আমার অকাল মৃত্যুর জন্যও
বাজারের আগুন দায়ী,
যে মুখে কখনো হাসি থামেনি,
সেখানে ঝলসানো আহাজারি,
হৃদপিণ্ডে ঝাঁকুনি বাড়ছে।
মরে যাবো হয় তো,
নিত্য শুকাই ঠোঁট,
সকলে জানুক এটাই প্রেমিকের
"সুসাইড নোট"।