সমাজটি আসলে কাদের?
এখানের জলে, বাতাসে
তাদের ঘ্রাণ ভেসে আসে।
নব কিশোরের অন্ডকোষ
ফুলে ফেঁপে উঠে,
ঝড়ের কবলে পড়ে বিপথগামী
শত সহস্র টগবগে যুবকের
আইডল রাতের কামনীয়রা।
তারা সমাজকে নাড়া দেয়,
ঠিক মূল স্তম্ভের উপর
ওদের পদচিহ্ন।
পতিতার গালি শিরোনাম
আজ কাল রাষ্ট্রীয় খবরে।
এই মুল্লকের সুশীলেরা
জ্ঞানের সব শাখা ঘেটে
হয়রান গালির ব্যখ্যা খুঁজতে খুঁজতে।
ওদের পুষ্পতুল্য পদকম্পনে
রাষ্ট্রে ঝাঁকুনি উঠে।
টালমাটাল নিয়ন্ত্রণকারীরা।
কিন্তু কেন?
কেন এই বিপর্যয়?
সব তলা চলে গেছে
নষ্টদের দখলে,
স্বামীর পরনারীর আসক্তিও
স্ত্রীর জন্য মুক্তির পয়গাম,
ডিম্বাকৃতি সন্তানের রসায়নে
পরমানন্দ পায় বাবা-মায়ে।
উপর তলায় ঝাঁকুনি দিতে সক্ষম
মুর্খদেবীর সুঠামো দেহবল্লরী।
বিবেকের দরজায় শয়তানে
তিন বেলা প্রসব করে
জারজের পাল।
উগ্রতা, ব্যগ্রতা পশুকে হার মানায়
জ্ঞানহীন নেতাদের
বাকপটুতা, অদৃশ্য ক্ষমতা।
ধর্মের ঠাই হলো
মসজিদ, মন্দির দেবালয়ে।
পাহাড়ের চূড়ায় আজানের অপরাধে
ধৃত যুবকের কারাবাস,
ধর্মের কথা বলায় নিত্য হয়রানি,
এসব গা সয়ে যাওয়া
নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার।
এদিকে,
নষ্ঠামির উপর ভর করে চলে
প্রতিটি নব সূর্যের কিরণ,
পুড়িয়ে দেয় কঁচি সম্ভাবনাময়
শত তরুনের হৃদপিণ্ড।
পরিণত হয় জ্বলন্ত কয়লায়
যে হৃদয়ে বাজবে
উড়ন্ত ফেনিল
গাইবে সফলতারগান।
সেখানে শুধুই আধার
অনিয়ন্ত্রিত যৌনতার ছড়াছড়ি।
তাহলে এই সমাজ কাদের?