আজ এই শারদপ্রাতে দিয়েছি বিদায়
বেদনাবিমূঢ় সিক্ত বিষাদী বর্ষারে;
তবু রেশ রয়ে গেছে ভোরের শিশিরে।
সেই শোকে শোকাতুর ঝরা শিউলির
বাস ভেসে যায় দূরে- অদেখা দিগন্তে;
পাষাণ! জানি সে ফুটবে আবার দিনান্তে।
কাশফুল যেন কিশোরী- কি কোমল কায়া
বেঁকে যায় বাতাসের আলতো তরঙ্গে;
ছুঁতেই তড়িৎ বহে সরু মৃদু অঙ্গে।
নীলাকাশপটে গগণবিহারী শুভ্র মেঘ
পাল তুলে বয়ে চলে প্রশান্ত সাগরে;
শান্ত করে তবরূপে ভুলিয়ে সবারে।
বর্ষনধৌত মায়ের রৌদ্রবসনে লাগে
শীতল ছোঁয়া, আসে মহিষাসুরমর্দিনী;
বিসর্জনে চলে যায় ফের কাত্যায়নী।
সাথী হয় ঋতুরাণী; পথে পরে থাকে
বিষণ্ন কাশ, শেফালিমালা ঝুড়ি ঝুড়ি;
আর নবীন ধানের অজস্র মঞ্জুরী।