অক্ষরবৃত্তে অষ্টাদশমাত্রিক কবিতা
চলে চরণতলে শুকনো পাতার মর্মর নৃত্যধ্বনি,
শিরোর্ধে গগনে মেঘ আর পবনের হানাহানি,
বিহঙ্গিনির পায়ের ঘুঙুরের শান্তির স্লোগান,
কৃষানীর চালে চলে চাল ভাঙার ঢেঁকির গান।
ঘচঘচ চিৎকারে গরুর টানা ঘানির আবর্তন,
মাছের আঁশটে গন্ধ ভালোবেসে জেলেদের বর্তন,
দস্যিছেলের কাবাডি রবে বিরোধীকে ছুঁয়ে ফেরা,
গাঁয়ের মেয়ের কলসি কাঁখে, আঁচলে কোমর ঘেরা।
জামের শাখে মধুমক্ষিকা মধুমাসে ধরে সুর,
মসলিন বোনা তাঁতির আবাস নয়তো অনেক দূর,
কুমার গড়ে মাটির বাসন অতুল কর তালে,
কামারের হাতে লোহা যেন মোমের মতন গলে।
পাটিয়াল বোনে বেতির মাদুর স্নেহ মায়া ঢেলে,
রবির সাথে ঘাসির কর্ম এক বেলাতেই ঢলে।
মাঝি গায় গান, পল্লীগীতি, মেয়ে থাকে তার চুপ,
এদের মাঝেই অম্লান থাকে এই বাংলার রূপ।