এখনো যখন বৃষ্টি নামে-
শার্সির কানাচে হাত রেখে
বর্ষণের অবিরল গান শুনি;
খোলা চুলে তোমার হাতের ছোঁয়া পাই।
অচেনা মুখের ছায়া-অজানা শরীর
অশরীরি এ কোন মায়ায় আমাকে জড়িয়ে ধরে।
সর্বাঙ্গ- শোণিতে,বৃষ্টির ফোঁটার সাথে
তোমার অমোঘ স্পর্শ পেয়ে
কদম্বের মতো ফুটে উঠি-
বাঁধা পড়ি হাতের শেকলে।
পলক বোঝানো চোখে
চুনীর মতন ঠোঁটে-
লুক্কায়িত পাপ যেন-
শুদ্ধসত্ত্ব মধু যেন-
অবিরাম ঝরে পড়-
নেশার আবেশে আর বিদ্যুৎ ছোঁয়ায়
নিজেই নিজেকে ভুলে যাই।
কতো জীবনের ভালোবাসা-!
কতো প্রতীক্ষার ক্লান্তি-!
কতো না কল্পের হেঁটে চলা-!
কতো জন্মের স্মৃতি-!
নব মুখ,নতুন পোশাক-!
যুগান্তরে জমে থাকা উষ্ণ বরফ ভালোবাসা
আমাকে চিনতে চেয়ে
বৃষ্টির ফোঁটায় নেমে এল;
কামনার অধৈর্য হাওয়ার সাথে
আমাকেই খুঁজেে।
পুলকে স্তম্ভিত হয়ে আছি-অশক্ত অবশ পায়ে
গতিরূদ্ধ হয়ে।
হাতের বেষ্টনে নাও-চুম্বনে সাজাও।
মরুঝড়ে বিপর্যস্ত
শুষ্ক দগ্ধ দীর্ঘ পথ
হেটেছি-পুড়েছি-
বৃষ্টি হয়ে এসো তুমি!
আমাকে ভেজাও ।।