কেমন আছো, বিশ্ববাসী মন?
হাতে হাতে হাত ধরে অনেক তো হল
মানববন্ধন, তবু মানববোমা নিষ্ক্রিয় হল কই?
কেন এখনও অলিতে গলিতে, রাজপথে,
উপসনা-নিরালায়, মনের চোরাগলিতে
থমকে থাকে ঈশানের ভয়কুটিল কৃষ্ণ মেঘ,
কেন মানুষের সাথে মানুষ, জীবনের সাথে
জীবন, অন্তরের সাথে অন্তর মন খুলে
প্রাণের সব কথা উজাড় করে বিনিময়
করতে পারে না, এই বুঝি স্কন্ধকাটা ভয়টা
এসে হিংস্র উল্লাসে বিস্ফোরিত হয়
রক্তের আলপনায়, চোখের শেষ ও
বিস্ময়-বিস্ফারিত চাহনিতে---অসহায় মাকে
কেন খুঁজতে হয় ছিন্নভিন্ন সন্তানকে
চিনে নেবার জন্য মাদুলি, তাবিজ
কিংবা সামান্য জামার টুকরো?
জানতাম ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’ আর
‘বসুধৈবকুটুম্বকম্’, এ জানার পরেও আর
কী সত্য আছে? আর কী সত্য মানুষকে
পৌঁছে দেবে ভালো লাগায়, ভালোবাসায়?
আর কী সত্য মানুষকে মানুষের থেকেও
মহীয়ান করে তুলবে? রক্তপিচ্ছিল সেই
মহিমার কী বা প্রয়োজন, তা কার শুভঙ্কর?
দোহাই, মারকমন্ত্রের ঘৃণ্য সাধনা হোক
দুঃস্বপ্নের ইতিহাস, বাস্তব মানুষকে দিক
ভালোবাসার অবসর, প্রেরণা আর মহিমা।
বিশ্ববাসী যেন পরস্পরকে বলতে পারি,
“আমি অমৃতের সন্তান, তুমিও। আমরা
বাঁচার জন্যেই দু’জনে দু’জনকে চাই।
এসো, আবার হাতে হাত রাখি।
এসো, আবার শুদ্ধ হই, ঋদ্ধ হই।”