যারা কোমলমসৃণ গালিচায় আলতো করে
পা ফেলে প্রবেশ করে জীবনের অঙ্গনে,
আলতো করে জীবনের সবটুকু রস
চেটেপুটে নেয় কোমল আয়াসে বা অনায়াসে,
যাদের হাতে যেখানের যতকিছু ভাল
এসে ধরা দেয় অবলীলায়, স্বেদবিন্দুর স্বাদ
যাদের রয়ে গেল অধরা, শুধুই তারিয়ে তারিয়ে
জীবনের ওম নেওয়া যাদের ব্যসন---
আমি তাদের কেউ নই,
কোনও দিনই কেউ ছিলাম না,
আজও নই,
আর হতেও চাই না।
কেন হব? আমার নিজের যা অর্জন
ঘাম, রক্ত ও স্বেচ্ছাক্লেশের মাধ্যমে,
তা যতই সামান্য হোক না কেন, তাতেই
আমার নিগূঢ় তৃপ্তি, মুক্তির স্বাদ,
গৌরবের চরম পুলক, মেঘভাঙা রোদের
স্বতোৎসারিত উচ্ছ্বাস, চরম মূল্যে পরম প্রাপ্তি।
তাই শরীর ক্লিন্ন হলেও আত্মা চির অমলিন,
অবসন্নতার আসন্নতাতেও মন নিরুদ্বিগ্ন,
আর মন থাকে চালকের আসনে, তাই
শরীরকেও মহাশয় হতে হয়, মনের
আজ্ঞায় তাকে দিতে হয়--- মন যা যায়।
তথাকথিত তারা দেখে আর অবাক হয়ে ভাবে—
এ কী করে সম্ভব! এত অনুপপত্তি সত্ত্বেও
মনের এত সম্পত্তি হয় কী করে! এত
প্রাণপ্রাচুর্য আসে কোথা থেকে! তথাকথিত
সুখীজনরা আমার দিকে হাত বাড়ায়,
হয়ত ঈর্ষাগত কারণে, হয়ত বন্ধুত্বের এষণায়।
কিন্তু আমি তাদের কেউ নই,
কোনও দিনই কেউ ছিলাম না,
আজও নই,
আর হতেও চাই না।
তাই নিরাপদ দূরত্বে নিজের
অর্জনকে বজায় রাখি—
কারণ আমি জানি
সত্যের থেকে মিথ্যের আকর্ষণ
অনেক অনেক বেশী।